রোজ রাতের শেষ ভোর ,আর দিনের শেষে রাত এই দুইএর সন্ধিক্ষণে এক স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হাঁকতে থাকে,আমার মনের গহীনে।
ঝোলাতে হরেক রকমের কষ্ট আছে, কষ্ট নেবে কেউ…কষ্ট! গোলাপি কষ্ট, সবুজ কষ্ট, নৈঃশব্দের কষ্ট,ঝরতে থাকা হলুদ পাতাদের কষ্ট, অনন্ত আকাশের নীল কষ্ট,না বলতে পারার কষ্ট, প্রতিবাদ করতে না পারার কষ্ট, সত্যি বলতে না পারার কষ্ট, সব বুঝেও নীরব থাকার কষ্ট, ভুল বোঝার কষ্ট, অবহেলিত হওয়ার কষ্ট, এমনই কত কিছুই!
জানো, আমার খুব ইচ্ছে করে, বয়েসের অভিজ্ঞতায় নিমজ্জিত সেই ঝুলিতে হাত ঢুকিয়ে দেখি, কষ্ট গুলো ঠিক কি রকম!..কষ্ট কি কম,বেশী হয় কখনো?
সেদিন, বেণীমাধবের কাছে সে কথা বলতেই, ঘনকালো মেঘের কষ্ট আর আলতা পায়ে ডাগর চোখের সাঁওতালি মেয়ের গল্প বলেছিল কাব্যি করে।
আমার তখন মনে পড়েছিল,ছোট্ট অমলের গল্পকথা… অমলের সেই ফেরিওয়ালা… “দই নেবে গো দই, ভালো দই”…. যে জানালার ধারে রোজ অমলের সাথে গল্প করতো। ভাবতেই চোখ ছলছল !
যদি,আমারও এমন আপন কেউ থাকতো, বেশ হতো, কতো গল্প হতো, পাখির মতো মন হালকা হতো, কিন্তু আমার যে কোন ফেরিওয়ালা নেই…কল্পনায় গড়া স্বপনের সেই ফেরিওয়ালা রোজ সকাল সন্ধ্যে একটু করে বদলে যায়! কী যে করি! ভাবতেই একটা চিনচিনে কষ্ট বুকে চেপে বসে।
আসলে কষ্টের কম বেশি বলে কিছু হয় না.. আরো কষ্ট, বেশি কষ্ট, অনেক অনেক কষ্ট, গভীর কষ্ট… সবটাই ভাবনার ওপর… তাই কষ্টের কোন শেষ নেই, তল নেই, কোন সংজ্ঞাই যেন যথেষ্ট নয়।
শুধু আছে একটা মন…সেই মনটা হোক সর্বাঙ্গীণ সুন্দর। সহজিয়া সুরে বলতে পারে ভালোবাসি ভালোবাসি।