তেলেগু নারীর কাছে এসে দেখি আমাদের চোখে জল, তার
থমথমে ভারী দেহে মাকাল ফলের মতো রূপ, যেন আর্য
পুরুষের দু’কূলে জোয়ার নামে, চেনে বাঁধা পোষা মর্কট
ঢুকে পড়ে রুদ্ধ ঘরে। কলা চিবোতে চিবোতে মুখ ভ্যাংচায়
অতীত নতুন করে শুরু এর পর—গবাক্ষের থেকে দূরে
তুষার নামছে, আর মুখে মাংসের হাড় নিয়ে দীর্ঘ সারি
অন্ধ কুকুরের। এ সময় গুদামের চাবি খুলে ঢুকে পড়ি
রূপ খুঁজি খটখটে ঘুঁটের ভেতর শুয়ে, গঁদের আঠার
টিন উলটিয়ে আমাদের গায়ে পড়ে যায়, যেন আর জোর
নেই কোনও হাতে, শুধু বুঝি গোমলের মধ্যে জ্বলে মরকত।
রাত্রি হয়, গঙ্গার নিস্তব্ধে নেমে হাত দিয়ে জলের তলায়
দুই বুক ধরে দেখে, আর ভাবে, যারা থেকে গেল ভবঘুরে
কর্ণাটকে সোনার ব্যাবসা জমে ওঠে যার, হোক স্বামী, ভারী
বয়ে গেছে একবার দেখে যেতে—জুয়ো খেলে যাক এ শর্বরী।