ওরে বাবা, ওটা কেরে, চেহারা বিকট,
কোন্ মতলবে এলো আমার নিকট ?
তোফা ছিনু একা একা ঘরের ভিতর,
হঠাৎ এলো কে ওটা, কোন্ সে ইতর ?
ধ্বক্-ধ্বক্ চোখে যেন আগুন ঝরায়,
লক্-লকে জিভে খালি লাল যে গড়ায়,
আড়-চোখ বারে বারে ঘুরিছে পাজীর,
মনে হয় যমদূত স্বয়ং হাজির |
মিট্ মিটে হাসি হেসে ভুরূটি বাঁকায়,
মুখখানা কেলে-হাঁড়ি যেন আব্ লুস্ ,
ফেটে যেন পড়ে ওর রূপের জলুস্ |
নোখগুলো বাঁকা-বাঁকা ভোঁতা- থাবাটার ,
গোঁফগুলো খাড়া যেন কাঠি সে ঝাঁটার |
সারাগায়ে ভরা লোম—কাল্ চিটে রং ,
উড়ে এসে জুড়ে বসে উজ্ বুক সং |
বন্ধু ব’লে বোধ ওরে হয় না ও-ভাই ,
এখনি সুযোগ পেলে করিবে জবাই |
ভাগ্যে এই টব ছিল ঘরের মাঝার,
নইলে মোটেই রক্ষা ছিল না আজ আর |
টবের ও পাশে গিয়ে দাঁড়াই দু’পায়,
এ-ছাড়া এখন কোনো দেখিনা উপায় |