মেহনতী কাজ করে সভ্যতার চড়া রোদে পুড়ে ,
কখনো বা প্রবল জল-ঝড়ে……..
বিন্দু বিন্দু শ্রমের রক্তক্ষরণে
সেজে ওঠে পুঁজিবাদের ঘর-কারখানা,
ঘিঞ্জি বস্তির ছোট্ট কুঁড়েতে জ্বলেনা বাতি,ভরেনা পেট
মেহনতীর কুঁড়েঘরের টিনের চাল ছোঁয়
দাউ দাউ দাবানলের আতস,
জমতে থাকে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ
রোষানলে প্রকাশ পায় প্রতিবাদ
সহস্র আকাশ চোখের সামনে গর্জে ওঠে
খান খান হয়ে ভেঙে পড়ে মেহনতীর বিশ্রাম।
মৃত্যু মিছিলে জমতে থাকে রক্তসিক্ত অধিকারের দাবি,
সর্বহারার কারিগর হিসাব কষতে থাকে
উন্নয়নের ভাগীদার হয়ে,
অনিয়ন্ত্রিত বেকারত্বের সংগ্রাম মুখর জীবন
অমরত্বের চৌকাঠ পেরাতে অক্ষমতা প্রকাশ করে,
প্রতিধ্বনিত হয় শ্রমিক সংগ্রামের কণ্ঠ,
শুরু হয় এক আপোষহীন সংগ্রাম,
মাটির বুকে তিলে তিলে ঝরানো রক্তের জীবনীগাঁথা
তবুও মূল্যহীন রয়ে যায়,
নিষ্পলক নয়নে জেগে থাকে
শ্রমজীবীর অব্যক্ত রক্তে জমাট বাঁধা বেদনারা।
চরম ভোগ-বিলাসিতায় মত্ত পুঁজির পোষ্য
শ্রমের বিনিময়ে করে স্বৈরাচারী উৎপীড়ন,
সর্বহারার জীবনে আনে ত্রাস,
লেখে বিষাক্ত স্ফুলিঙ্গের বিদগ্ধতার ইতিহাস,
শ্রমিকের অর্ধদগ্ধ রক্ত-মাংসে গড়ে ওঠে
বিত্তশালীর আগ্রাসী বিজয়ধ্বজ,
নেই সমবন্টনের অঙ্গীকার…।
ওরা যে মেহনতী…..
শৈশব যাদের অবহেলিত, জীবন যাদের পদদলিত
বিষাক্ত দূষণ,রোগ-ব্যাধি মৃত্যুভয়ে জর্জরিত প্রাণ,
তবুও গায় মানবতার জয়গান।
ঘর্মাক্ত শ্রমের মূল্য ওরাও যে ফিরে পেতে চায়
তাই সমবেত প্রতিবাদ জানায়,
নির্দ্বিধায় প্রত্যাশার হাতে রক্ত চুষে খাওয়ার
প্রতিবাদে জ্বলে ওঠে দাবানল,
গড়ে ওঠে বিক্ষোভ সমাবেশ, শ্রম দিবস,
সারা বিশ্বজুড়ে স্বগর্বে ঘোষিত হয় “এক অখণ্ড আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস”
“মহান মে দিবস”…..!!!