স্বপ্ন দেখতে বারণ কোথায় ?
কিন্তু চোখের জল ফেলা অনর্থক।
চোখের জলে চতুর্দিকে বন্যা বয়ে যায় –
আঁধার রাতে সঙ্গীহারা সান্তনা না পায় ।
দুশ্চিন্তা আর হতাশা এসে দখল করে মন ,
করুণ মুখ আর দুঃখ দেখে, দেখে হতাশ আমি –
ধ্যাৎতেরিকা এভাবে বাঁচা যায় নাকি ?
পারলে ফোঁস কর,বেকার মাথা নত কর না ,
কেন ভাবতে চাও না দয়ায় বাঁচা যায় না ,
স্বার্থপর পৃথিবী নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত –
কেউ মুঠো খোলে না , সবাই চায় পূর্ণাঙ্গ…।
ভোরের সকাল একবুক ক্লান্তি নিয়ে –
মাটি,ঘাসহীন দুটি পায়ে হেঁটে চলেছে দিনক্ষয়ে ,
অংশুমালি নিত্য অনিচ্ছায় হেলছে পুব থেকে পশ্চিমে
দিন, মাস, বছর শেষ হয় শোষণের নিষ্ঠুর যাঁতায়।
ভোরের পাখি দিগন্তে ডানা মেলে পেটের তাগিদেই …
তবে তোমরা অলস ,ভীরুতায় বসে নিশ্চেষ্ট হয়ে ,
ব্যর্থতার গ্লানি বহন করে অক্ষমতার দোহাই দিয়ে –
কেন প্রবোধ দাও অবোধ মনকে ?
” মৃত্যু তো একবারই আসে ,দুর্বলের বার বার “
মরতে হলে একবারই মর,ভয় কি হারাবার ?
অধিকার সহজ লভ্য নয় শক্তি দিয়ে ছিনিয়ে নিতে হয় ।
আনন্দ আশ্রমগুলো আর ভেঙ্গে না দিয়ে –
মানবিকতার উৎসকে ঘরে ফিরিয়ে আন্ ,
এখনও নিতান্তই অকারণে ,অবহেলায় পরে থাকা –
মায়ের দুধের দাম মেটাতে নারী-র সম্মান রক্ষ্যা কর।
যারা সর্বনাশা নারী লভি,তাদের মুখোস খুলে ধর ।
কাম আর ভোগের মনোবৃত্তি মুছে দিয়ে –
ভক্তি ,প্রেমে জাগিয়ে তোল , হাতিয়ার হোক্ তারা ।
ঘাড়ের উপর দীর্ঘশ্বাস ,আততায়ীর শাণিত কৃপাণ –
হানা দেয় বারবার ।অসহায়তার কুটিল স্রোতে –
রক্ত বন্যায় হাবু ডুবু খাচ্ছে উলঙ্গ দ্রৌপদী ,
নতুন মহাভারত লিখছে সময়ের অবক্ষয় ।
লোভের ক্রূর হাসিতে,হিংসায় অসূরেরা জেগেউঠেছে ,
এখন সময় রুখে দাঁড়াবার –
ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠুক মনুষ্যত্ব আর প্রতিবাদ ….।
পাগলী মায়ের দামাল ছেলে –
সামাল সামাল রব উঠেছে ,ঝড় উঠেছে ,
ঘর ভেঙ্গেছে ,গাছ পড়েছে ,আবর্জনায় ভরা ,
বেলচা ,কুরুল ,কোদাল নিয়ে –
জোয়ান ছেলের শক্তি দিয়ে –
সাফ করে দে ধরা,
কান খুলে শোন ,ওই দুশমন করছে মাকে তাড়া ,
বস্ত্রবিহীন লজ্জা আসে ,মায়ের বুকে আর্তনাদ –
উড়িয়ে নিশান শত্রুনিধন ,চুলোয় উঠুক জাতপাত । মায়ের আশিস মাথায় যাদের তাদেরই জয়কার –
লড়তে হবে,বাঁচতে হবে শপদ হোক্ তোমার আমার …