একদা এখানে এই বাড়িতে করত বসবাস
পরম শান্তিতে কতিপয় নিরিবিলি বাশিন্দা, ছিল না কোনও
চেঁচামেচি বাড়িটিতে, কিংবা কোনও দিন অকস্মাৎ
লাগেনি আগুন, ধসে পড়েনি দেয়াল,
বারান্দা অথবা ছাদ তাসের ঘরের মতো। কখনও কখনও
শোনা যেত নূপুরের ধ্বনি আর মালকোষ, বসন্ত বাহার।
বাড়িটার সমুখে উদ্যান ছিল, ছিল কিছু
রঙবেরঙের ফুল, মাঝে মাঝে পাখিদের গানে
পরিবেশ চিত্তহারী ছন্দে ভোরবেলা
দ্বিপ্রহর অপরাহ্নে হতো নৃত্যপর। কখনওবা
তিন চারজন নারী ও পুরুষ চড়ুইভাতিতে
সুস্নিগ্ধ উঠত মেতে উদ্যানে; শিশুর
হাসির তরঙ্গ মাঝে মাঝে
লুটিয়ে পড়েছে ঘাসে, গাছের পাতায়।
কী যে হ’ল একদিন সেই বাড়ি থেকে মুছে গেল
সব কলরব, কার ফুঁয়ে যেন নিভে গেল বাতি,
দরজা জানালা ভাঙাচোরা, ঘরময়
চামচিকা ও বাদুড় । দেয়ালে সুদীর্ঘ বুনো ঘাস।
মাঝে মাঝে অন্ধকারে বাড়িটার বুকচেরা ঘাস
আর বুনোলতাময় জানালায় জোনাকির ভিড়ে
একটি রহস্যময় মুখ জেগে থাকে
প্রগাঢ় সময়হীনতার। কার মুখ? মেলেনি উত্তর আজও।