একটি গাঢ় নিঃশ্বাস যুক্ত শাশ্বত গ্ৰন্থ,
যে নিজেকে নিজেই পড়ে যেতে থাকে
নীরবে,নিঃশব্দে অবিরাম..
গ্ৰন্থের প্রতিটি শব্দ ফুঁড়ে ওঠে আসে
বোধ ও উপলব্ধির যে আশ্চর্য শিহরন
তার নাম জীবন,জীবনের
জীবন ;
সেই গ্ৰন্থটিকে তুলে দিয়ে এসেছি
তোমার হাতে একদিন
ভাবনার মহাসাগরে আগুন ঝরাবে বলে ।
দ্বিধাহীন হৃদয়ের সব আকুলতা নিয়ে যেদিন
ডুবে যাবে তুমি গ্ৰন্থের গভীরে আপাদমস্তক,
সেদিন থেকেই তুমি দেখতে থাকবে দু’চোখে
এই জন্ম ও জীবনের প্রকৃত উৎস মুখ…
দেখতে থাকবে কি ভাবে শব্দ ও অক্ষরেরা স্রোতধারায়
নেমে এসে মেশে সুন্দরের ভালোবাসায়,
যাকে বহন করে নিয়ে চলে আত্মা,সত্তা ও শরীর ।
তখন ঠিক চিনে নিতে পারবে জীবনের
প্রকৃত আলো ও অন্ধকার আর গন্তব্যের পথ,
চিহ্নিত করতে পারবে জীবনের সত্যাসত্য
ও ব্যর্থতার গ্লানি
এবং খুঁজে নিতে পারবে নতুন এক জগৎ
আর নতুন এক সময়ের অনিমিখ আলোর সংকেত
ওই নতুন সময়ের দিকে যাওয়ার পথে আমি
তোমাকে আর গ্ৰন্থটিকে আমার সঙ্গে নেবো,
আমরা অতিক্রম করে যাবো সব বিষাদ শূন্যতা।