এত পলিউশন খাচ্ছি সারাদিন, এবার এক টুকরো চাঁদ
খেতে হবে
এখন না, শেষ রাতে মেঘের প্রাসাদগুলো ভেঙে-চুরে গেলে
ততক্ষণ কী যে করি, জেগে থাকা চাই
লেখার টেবিলে বসা আমার নিয়তি।
ডান দিকের দেরাজের ছবিটা কোথায় গেল, কেনই বা বন্ধ করা আছে?
আর সব কিছু খোলা, এমনকী সাদা পৃষ্ঠা, এমনকী মদের বোতল
প্রেম যদি ভেঙে যায়, তা হলে দু-একটা রাস্তা মন থেকে
মুছে দিতে হয়
যেমন চিড়িয়ামোড়, যেমন বকুলবীথি, মানচিত্রে নেই।
টেবিলের ও দেরাজ চিরতরে বন্ধ থাকবে জানি
চাবিটা পেলেও আর খুলবে না, চাবি-মিস্তিরিরা ব্যর্থ হবে
জানি না কী আছে ওর অন্ধকারে, কিছু কি সুগন্ধময় ছবি?
রাত একটা চুয়াল্লিশ, ন’তলায় জানালায় কে এসে দাঁড়াল
আকাশের ফ্রেম, তার চুলে বুঝি হিরে-কুচি, চক্ষে নীল জল
এক পলক, সঙ্গে সঙ্গে কাচ ভাঙার শব্দ, এরকমই হয়, যদি
কলম নিস্তব্ধ পড়ে থাকে
এ সময় আস্তে আস্তে খুলে ফেলতে হয়
পা-জামার দড়ি
গ্রাম বাংলার ঘ্রাণ ভেসে আসে নদীর বাতাসে
এই রাত শেষ হতে আর কতক্ষণ?