এই যে,একবুক যন্ত্রণা উপহার দিলে তুমি আমায় দু হাত ভরে!
মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকা শিউলি ফুল ভেবে কুড়িয়ে নিলাম আমি এক আঁজলা ভরে!
একমুঠো রোদ্দুর মাখা হাসি ছড়িয়ে দিলাম যেই তোমার উঠোন জুড়ে, ওমনি অবহেলা এসে দাঁড়ালো আমার বক্ষের দুয়ারে।
শ্রাবণের ধারায় চোখ মুখ ভিজিয়ে নিতেই,
অবজ্ঞা এসে অট্টহাস্যে ভিড় করলো চার দেওয়ালে!
অবমাননা বললো এসে, মুখ বুজে আর নয়,
সময় এসেছে গর্জে ওঠো এবারে!
দু চোখ মেলে অনন্ত আকাশের পানে চাইলাম,
মন্দিরে গিয়ে ঈশ্বরের চোখে চোখ রাখলাম। মসজিদ গির্জায় পার্থনা জানালাম।
সকলেই নীরব, সকল আপনজন, ব্যস্ত তাদের প্রত্যহ নিজের কাজে!
নৈঃশব্দ্য আমায় ঘিরে ধরে!
আমি প্রকৃতির অপরূপে চোখ রাখলাম, দেখি সারিবদ্ধ গাছ গুলো উত্তরের হাওয়ায় হলুদ পাতা খসার আহ্ট বুকে নিয়ে আপনজনের মতো পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। অথচ ওরা কেউ কারও নয়!
প্রতিটি গাছ মানুষের মতোই ভীষণ একা আর একলা।
আমি মহামান্য বিচারকের কাছে গেলাম, দেখলাম কালো কাপড়ে তাঁরও দু চোখ বাঁধা!
আমি হাসতে থাকি, নিজের কথা নিজের কাছেই লুকাই! কি হবে বলো এসব কথা ভেবে নিজেকে কষ্ট দিয়ে, আর সকলকে বলে!
আমার উপহার আমারই থাক, দামী জামা কাপড়ের মতো আলমারিতে।
আজ আমার ভিতরে সবকিছু কাঁদছে, কাজল ধোঁয়া চোখে তাই বারিধারা আর ঝরে না! আমি শুধু তাই হাসি, আমার এ হাসিতে ব্যথার ফুল ফোটে না!