“রূপং দেহী,জয়ং দেহী, যশঃ দেহী, দ্বিষঃ দেহী”
বাঁশির সুরে বিদায়ের বিষন্ন সুর বাজে,
নদীতীরে দাঁড়িয়ে পড়ন্ত বেলায় ভাবছি
যখন জননীই তুমি
তবে কেন বিসর্জিতা হবে?
মনের গভীরে ছটফটিয়ে ওঠে
এই নিষ্ঠুর অনুষ্ঠানে হারিয়ে গেল তবে!
বিষন্নতা বোধ নিয়ে বর্তমানে আছি,
সমস্ত আনন্দ কোথায় আছে কে তা জানে?
ভেসে গেলে তুমি, মাটির গড়া পুতুল যেন…
আর কতকাল ভাসতে ভাসতে যাবে!
আলোর শেষে এলিয়ে পড়েছে স্মৃতি;
শূন্য ঘরে পা দুখানি রয়েছে অনুভবে
বুকের ভেতর পদ্মচোখের বৃষ্টিধারা নামে
রয়ে গেল কত কামনা বাকি…
তুমি এলে “হিন্দু-অ হিন্দু কোলাকুলি করে”
মুক্তির দিনযাপনে জাতি, বর্ণ, ধনী-দরিদ্র
খুব কাছে আসে-
মহিষাসুর ফ্যাসিস্টের নীলখড়্গ,
রক্ত চক্ষু অবহেলায় দূরে ঠেলে;
দিনরাতের কাঁটাতারের বেড়া বেশ ছিল দূরে—
নেকড়ের মতো যারা তেড়ে আসতো;
টুঁটি কামড়ে ধরতে,
অন্ধকার সুরঙ্গের টানেলে ছিল ভয়ে;
দ্বাররুদ্ধ করে,
বুঝি বা কোন অত্যন্ত ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ
আগ্ৰাসী সংহারের ভয়ে-
এ ক’দিন রক্তের সুতীব্র ঘ্রাণ ছিল না…
এই কী যথেষ্ট কারণ নয়!
তোমাকেই ফিরে আসতে হবে বারেবারে,,