আষাঢ় বেলা কাদম্বিনীর জলদ কাজল রূপ
উদাস থাকা কদম বনের কুসুম কলি চুপ,
সবুজে ভরা সতেজতার রূপের ঝলক লাগা
কুসুম সকল বৃষ্টি স্নাত পবিত্রতায় জাগা।
অপরূপ শ্রী প্রকৃতি মাঝ কতই চমৎকার
দোলন চাঁপা রঙ্গন বাহার ফুলে স্নিগ্ধ সৌরভ আধার।
প্রজাপতি খেলে কত ফুলে ফুলে দুলে,
মৌমাছি তার নীল পাখনায় গুঞ্জন সুরে তুলে।
রিনিঝিনি নূপুর বাজে আষাঢ় বাদল ধারায়
বিহঙ্গরা নিশ্চুপ হয়ে কাটায় বসে কুলায়।
শঙ্খচিলের কর্কশ স্বর নীরবতা ভাঙে,
ভরা কোটাল মাঝে নৌকা বেড়ায় ভেসে গাঙে।
বৃষ্টিভেজা পিউ কাঁহা একলা সুরে ডাকে
চোখ-গেল পাখি থেকে থেকে ডাকে উড়ে ফাঁকে।
ডাহুক ঘোরে জলে ঝোপে মাছের খবর নিতে,
বর্ষারানির নূপুর বাজে রিমঝিম ঝিম সুর গীতে।
দাদুরির দল জলাশয়ে খেলে খুশি ভরে
হরষিত ঝিল্লি উল্লাসে ঝিঁঝিঁ ঝিঁঝিঁ করে।
বাউল বাতাস সজল হয়ে মৃদু লয়ে ধায়,
পল্লী বধূ ভিজে সারা কলসি কাঁখে যায়।