তুমি তেজোদীপ্ত, মহাদেবের ন্যায় প্রলয়ঙ্কর,
ক্ষিপ্রতা আর সাহসীকতায় বাঁধাধরা নিয়ম হয় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন।
তুমি অন্তহীন কষ্টে নিমজ্জিত বিধবার বেশ ছিন্নকারী রূপক,
ফুটিফাটা জমিতে নিরস ধরিত্রীর তৃষ্ণা নিবারণকারী ত্রাতাস্বরূপ।
গ্রীষ্মের রঙীন রোদ্দুর আবার ছায়াময় জোছনার মাঝে তোমার উপস্থিতি
সাইক্লোনের বিভীষিকা, টর্নেডোর আলোড়ন, সিডরের দাপাদাপি ম্লান
বাংলার ঋতু বৈচিত্রের চলচ্চিত্রে একটাই নায়ক, একটাই ভিলেন
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য, দৃষ্টান্তমূলক ছাপ রেখে যাওয়া কালবৈশাখী।
তুমি গ্রীষ্মের খরতাপে অতিষ্ট প্রাণীকুলের কাছে শান্তির দেবদূত
আবার তুমিই প্রবল ঝড়ে উপড়ে ফেলো অসহায় জীবের সম্বল।
বৈশাখ জুড়ে তাই একটাই প্রশ্ন-তুমি আশীর্বাদ না অভিশাপ?
অভিশাপের ভার লাঘব করে তুমি আশীর্বাদ হয়ে বিরাজ করো।
তোমাকে ঝরে পড়া আম উপহার দিতে পারি, যদি তুমি আমাকে মানো,
ধরিত্রী মায়ের কষ্ট লাঘবের সমস্ত আশীষ তোমার উপর ঝরে পড়ুক
তোমার দাপট এমন হোক যেন শিহরণ জাগরিত করে বাঙালির প্রাণে।।