সুবিধাবাদী রাজনীতির পথে হাঁটে নি ছেলেটি,
রাজনীতির কাদা গায়ে মাখতে চায় নি ছেলেটি,
অন্যায় দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ত ছেলেটি,
মনেপ্রাণে মানবতাবাদী হতে চেয়েছিল সে,
জাত – ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে প্রতিবাদী হয়েছিল সে,
মৃত্যুর আশঙ্কা থাকলেও পরোয়া করে নি সে,
রাজনীতির আবর্জনা সাফ করতেই চেয়েছিল,
দেশের ঐতিহ্য ও সংবিধান রক্ষা করতে চেয়েছিল,
সহ্য হল না উগ্র ধর্মান্ধ ফ্যাসিবাদী শাসকশ্রেণির ,
কিংবা তাদের পা-চাটা কিছু উচ্ছিষ্টভোগীর,
এতো বড়ো সাহস রক্তচোখ দেখায়!
যা হবার সেই অবধারিত ফল হল তার ভাগ্যে,
হত্যা করা হল তাকে।
মৃত্যু হল তরতাজা যুবক আনিস খানের।
উঠেপড়ে লাগলো রাজনীতি আরও কদর্যভাবে,
প্রমাণে ব্যস্ত কার দলের লোক ছিল সে,
আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চলছে মিছিল,
অবরুদ্ধ হচ্ছে এদিকে ওদিকে পথঘাট,
রাজনৈতিক অক্সিজেন পেতে চলছে লম্ফঝম্প,
সাধারণ মানুষের অসুবিধাই হচ্ছে এতে,
ছেলেটি সাধারণ মানুষের কথাই তো ভাবতো!
নকল দরদীরা সেসব গুলিয়ে দিচ্ছে অহরহ,
সে এখন রাজনৈতিক ব্যবসার দামি উপকরণ!
সাথে আছে টি আর পি নির্ভর মিডিয়া,
এরা দাবি করে নিজেদের চতুর্থ স্তম্ভ বলে,
কাজের ক্ষেত্রে আড়কাঠির ঠাকুরদাদা!
পিছনে পড়ে যাচ্ছে সুবিচারের আসল কথা,
মূল্যবান সময়ের হচ্ছে চূড়ান্ত অপচয়,
নতুন ইস্যু পেলে ভুলে যাবে দল ও মিডিয়া,
মনে পড়ে রিজওয়ানুর বিচার আজও অধরা!
কালের নিয়মে থেমে যাবে একসময় ‘ কলরব ‘,
মিডিয়া ছুটবে নতুন ব্রেকিং নিউজ সন্ধানে,
রাজনৈতিক দল খুঁজবে গরমাগরম উপকরণ,
বিনা বিচারে বন্দির পরিচয় যেমন একটা সংখ্যা,
আনিসও হয়ে থাকবে শুধুমাত্র একটা মৃত্যু হয়ে!
হাজার হাজার এমন মৃত্যুর ভীড়ে।
কলম জানতে চাইবে না – আর কত? কত? কত?