আলো আঁধারির রঙ্গমঞ্চে ঠিকরে পড়ে আলো,
সময়ের তালে তালে অব্যর্থ চালে খেলে চলে কুশীলব,
পরোক্ষে দড়ি বাঁধা অনলস পুতুল খেলা।
চাঁদের মায়াবী আলোয় উদ্ভাসিত উদ্বেলিত জোয়ার ভাটার টান,
শিশুর দেয়ালায় আলোকিত ভূবন স্ফটিক স্বচ্ছ,
মায়ের কোল জুড়ে বাৎসল্যে পূর্ণতার মায়াবিম্ব।
আয়নায় প্রতিফলিত অবয়বের অবিকল প্রচ্ছায়া,
তবু অদৃশ্য অধরা বিবেকের দংশিত প্রতিলিপি,
স্নিগ্ধতা ঢাকা পড়ে কাঠিন্যের কুজ্ঝটিকায়।
দর্পণ আজ বিধ্বস্ত মুখ ও মুখোশের আড়ালে,
যখন চুঁইয়ে পড়ে ক্লেদাক্ত ক্ষতের চোরাস্রোত,
শৌখিন হৃদয়ের শত ভঙ্গুর অলিন্দে অট্টহাস্য করে প্রতিবিম্ব।
পাঁজরের হাড়ে ছায়াসঙ্গীর নিবিড় ঘনত্বে,
প্রতিবিম্ব যেন একরোখা সপাট চাবুক,
আছড়ে পড়ে দুর্দম সত্যের পরাক্রমী আয়নায়।