আমি সেই মেয়ে যার জন্মে কোন শাঁখ বাজেনি।
হয়নি কোনো আনন্দ উৎসব।
মায়ের স্নেহ ছাড়া আর কিছুই জোটে নি আমার কপালে।
ভাইয়ের আগমনে সেই স্নেহ ও লাগলো গ্রহণ।
অবহেলিত সেই মেয়ের মনে জাগে অভিমান।
ধীরে ধীরে সেই অভিমান জেদে পরিণত হয়। পড়াশোনা কে আঁকড়ে ধরে এসব বাধাকে অতিক্রম করে সে।
দন্ড পলের হিসেবে কেটে যায় কালচক্র।
সকলের নয়নের মনি “ছেলে “–নিজের স্বার্থে সস্ত্রীক বিদেশবাসী—-
তার বিদেশযাত্রার খরচ যুগিয়ে নিঃস্ব বাবা-মা।
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায় দিশেহারা।
মেয়ে এসে হাল ধরে।
বলে— অবাঞ্ছিত মেয়েই তোমাদের শেষ সম্বল!
আমরা নারী— আমরা পারি!
আমাকে মেয়ে না ভেবে সন্তান ভেবে থাকলে আজ তোমাদের এই দুরবস্থা হতো না!
বাবাগো পরিবর্তন করে দৃষ্টিভঙ্গির—
লিঙ্গ বৈষম্য নয়, সন্তান সন্তানই — ছেলে বা মেয়ে নয়!
অনুশোচনার অশ্রুতে ভেসে যায় দুচোখের কোল——!