চলতে চলতে কিছু বলে ফেলা
বলতে বলতে কিছু লিখে ফেলা
নিত্য যাত্রার মুখে কিছু একাত্মতা
অমিলের মাঝেও কিছু মিলনের বাধ্যবাধকতা
এসব নিয়েই রচিত হয় অনেক সময় কত কবিতা
আমাকে যারা এখনো বুঝতে চায়নি বা বুঝতে পারেনি
আমিও হয়তো তাদের মনের মত হতে পারিনি
ওসব নিয়ে তেমন গভীরভাবে কখনো যে ভাবিনি
লিখে গেছি কবিতায় মনের কথা, তাতে যে একটুও নকল করিনি
নিশ্চুপ গতির ভিড়ে কিছু অভিব্যক্তি লাগে অদ্ভুত
কিছু ছোট ছোট স্বার্থের তরে তারা আমাকে মনে করে আমি অচ্ছুৎ
মানুষের লাগি কবিতা লিখেও আজ আমি মানুষ হতে বিতাড়িত
কে জানে কবে? কেউ আমায়; মানব সভায় করবে জড়িত
শুভক্ষণের সেই অপেক্ষারা এখন কেঁদে উঠে মাঝে মাঝে
কবিতায় কবির প্রতিবাদ লাগে না কি সমাজের কাজে ?
এসব মতান্তর প্রশ্নেরা বোকা বাক্সের অন্ধ গলিতে প্রতিবন্ধীর ভূমিকায়
খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রচন্ড বিদ্রোহের মুখেও কবি থেমে যায় কবিতায়
আজ যেতে যেতে যাওয়া শেষ সমস্ত গন্তব্যের অন্তিম প্রান্তে
পলকেরা ঝলকের বিবর্তনে মিথ্যের সাক্ষী হয় নিজেরই অজান্তেই
ঐ তারা দের দেশে বসে আছে কারা দেখো বিচারের খাতা লয়ে
ঐখানে নিশ্চয়ই কেউ লেখে ন্যায়ের কথা বড় সযত্নে
আছে ;আছে; আছে; কেউতো আছে
আমার এই প্রতিবাদী বিদ্রোহের কবিতার দিকে তাকায়ে
যতই ভাবো তোমরা অনেক, পড়ে আছি আমি একা
আমি শুধু আমি নই, আমার সাথে আছেন কেউ, যায় না তাকে দেখা।
আমি শুধু আমি নই, আমার সাথে আছেন কেউ, যায় না তাকে দেখা।