অবাধ্য বাতিঘরের জড়তা কাটিয়ে
বীরত্বের অন্তিম ঝঞ্ঝা পেরিয়ে
ভেঙে অনন্ত জড়তার বেড়ি,
ছুঁয়েছি পরিত্যক্ত ভাগ্যরেখা
নয়নে জমানো অগ্নিশিখা
আমি জীবন সংগ্রামী নারী।
আজও আমি একাত্তরের বীরঙ্গনা
ক্ষত দিয়ে ঢাকি সম্ভ্রম ,
রক্ত জমিন স্বপ্ন ছায়ায়
নই আমি অসহায়, অক্ষম।
আগুনে তপ্ত রাজপথ আজও
খালি পায়ে হেঁটে চলি ,
সৃষ্টির উল্লাসে লজ্জিত নই গো
ঘৃণিত নরপশুদের দিই বলী ।
বিষাক্ত আঁচড় দুর্বিষহ জীবন
ভয়াল মৃত্যুর নেই পরোয়ানা,
ছিনিয়ে নেব আপন স্বাধীনতা
যুদ্ধে গর্বিত আমি বীরাঙ্গনা।
রক্তিম বৃষ্টির দহন চোখে
গড়বো দেশ, গড়বো সমাজ,
সভ্যতার স্থায়ী স্তম্ভ গড়ে
ওড়াব নারীর বিজয় ধ্বজ।
শত মুক্তিযোদ্ধার জননীদের
নগ্ন শরীর করেছ শোষণ,
কলঙ্কতার মোড়ক ভেঙ্গে
বিশ্ব দরবারে করব শাসন।
নিষ্প্রাণ গ্রহে, নির্জন মহাদেশে
প্রাচীন ভবিষ্যতের হারানো বাণী,
সোনালী ঊষা জাগাব আবার
জোয়ারে ভাসিয়ে সকল গ্লানি।