সময়ের চৌকাঠ ডিঙিয়ে
সীমানার কাঁটাতার পেরিয়ে
আবার যখন দেখা হবে
ঠিক চিনতে পারবে তো?
আবার যখন দেখা হবে
পরনে থাকবে ঢাকাই জামদানি
এলোচুলে তোমার প্রিয় বকুল কুঁড়ি
এ্যাই,চিনতে পারবে তো!
আবার যখন দেখা হবে
কুশিয়ারা নদীর ওপারে
আমি পলাশগাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকবো
সেই আগের মতন করে দেখে নিও।
আবার যখন দেখা হবে
সীমান্ত শহর ঘিরে যত বাঁধাই থাকুক
যত কঠোর প্রহরাই হোক্
মন ঠিক জানে,তুমি আসবেই–
আবার যখন দেখা হবে
বন- পলাশীর মাঠে গিয়ে বসবো দুজনে
গাঙচিলেদের ওড়াওড়ি দেখতে দেখতে
গোধূলির অরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করবো।
আবার যখন দেখা হবে
কবিতার খাতাটা নিয়ে আসবো
এতোদিন তুমি তো ছিলেনা, যদিও
প্রায় কবিতাতেই বিয়োগ ব্যথার ছোঁয়া!
আবার যখন দেখা হবে
দারুণ সারপ্রাইজ দেবো
রেখেছি আগলে বুকের দেরাজে
চাবি বন্ধ করে।
বিস্ময় মেশা অপার মুগ্ধতা
তোমার চোখে কাঁচে,
দেখবো তখন দু’চোখ ভরে আমি
উপচে পরবে সুখের ঝর্ণাধারা!
যখন ঝকঝকে মলাটের সুদৃশ্য প্রচ্ছদে
সোনালী অক্ষরে লেখা নামটি দেখবে,
* সুজন- কথা* আমার লেখা উপন্যাস!
আবার যখন দেখা হবে দুজনার
সময়ের সিঁড়ি বেয়ে কোন একদিন
অনেক স্রোত ঠেলে ঠেলে-
হয়তো সময়ের বলিরেখা থাকতেই পারে
দুজনের অবয়বকে ঘিরে,
তখন চিনে নিতে পারবে তো সুজন?
আচ্ছা,এক কাজ করা যাক্
আমি নাহয় তোমার দেওয়া সেই
আসমানী রং রেশমী শাড়িটাই পরবো,
তুমি পরো মেরুন পাঞ্জাবি,ওটা তোমাকে দারুণ মানায়!
আর হাতে রেখো তোমার মোটা কবিতার বই,
ঠিক চিনে নেবো পরস্পরকে অনুষ্ঠিত মনের আতস কাঁচে!