এখনও বাঁশের খুঁটি বেয়ে টালির চালে লতিয়ে ওঠে চালকুমড়োর গাছ
বর্ষার জল পেয়ে টপাটপ খসে পড়ে পেয়ারা-বাতাবি
খড়ের গাদার গা ঘেঁষে দোল খায় মেটে আলুর গাছ-
রাজপথ ধরে আমি ছুটে চলি কংক্রিটের জঙ্গলে।
এখনও অবিন্যস্ত তৃণের গোছা আঁকড়ে ধরে আঙিনা
গোয়ালের পাশে গলাগলি করে বেড়ে ওঠে মানকচুর দল
ভেজা দরজার চৌকাঠে মাথা তোলে ধূসর সাদা ছত্রাক-
আমি ছেড়ে এসেছি সবুজের ওড়না
ছেড়ে এসেছি কাজলা গাই আর তেল চুকচুকে দীর্ঘ বিনুনি।
তবু আজও রাজপথে আমার উন্মত্ত চাকা থমকে দাঁড়ায়-
হাঁস-মুরগীর অতর্কিত পদচারণায়!
খোঁটা উপড়ানো ছাগলের অসংযত পথভ্রমণে!
আলোকের নিশ্ছিদ্র প্রহরায় আকস্মিক নেমে আসে আদিম সবুজের অন্ধকার!
কতদূর এগিয়েছি পথের?
কয়েক গজ! মাইল! কিলোমিটার!
নাহ্! আমি কেবলই আবর্তন করে চলেছি আমার নিজস্ব আলোক বৃত্তে!
ঘড়ির কাঁটার মতন।