একটা সুপাত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। বয়েস ২৫।কিন্তু মেয়ের বয়েস মাত্র ১২। তবে ওর বাবা-মা এমন সুবর্ণ সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চান না। কিন্তু মেয়েটা ? সে বিস্ময়ে বোবা নির্বাক হয়ে গেছে। তার পড়াশোনার অদম্য প্রবল ইচ্ছে। কিন্তু তার মনের গভীরতার তল খুঁজে পেল না আপনজনেরা। অতএব নির্ধারিত দিন দেখে ছাদনাতলায় চার হাত এক করার আয়োজন সম্পূর্ণ হলো।
এবার কিন্তু মেয়েটা জেদী বেপরোয়া। এক ফাঁক পেয়ে সে পালালো স্কুলের অতি পরিচিত এক দিদিমনির কাছে। ক্রন্দনরত সুকেশীর মুখটা দেখে তিনি শুধোন , কি হয়েছে সুকেশী ?
-আমাকে আরো পড়াশোনা করতে না দিয়ে বাবা-মা আমার বিয়ে দিতে চায়। .
– কাঁদিস না মেয়ে। আমি কাছেই এক থানায় তোকে নিয়ে যাচ্ছি। কথামতন কাজ। বড়বাবু তাকে অতি চেনা-জানা হোমে পাঠিয়ে দেয়। আর বাবা-মাকে থানায় ডেকে নাবালিকাকে বিয়ে দেবার অপরাধে সাবধান করে দেয়।
এখন সুকেশী ২১ বছরের যুবতী । কিন্তু এবার সে দৃঢ়তায় স্থির করে , বাবা-মার্ কাছেই ফিরে যাবে। তার বাবা-মা এখন আরো বৃদ্ধ হয়েছে। কিন্তু মেয়েকে ফিরে পেয়ে অমলিন হাসি চিকচিক করে।