আজবগড়ের আজব কাণ্ড
এক যে ছিলো দেশ— নামটি তার আজবগড়।আজবগড়ে ঘটতো সব আজব কাণ্ড। সে দেশের শিশুরা পাকাচুল, চার ,পাঁচ ফুট হাইট ,32 পাটি দাঁত নিয়ে কেউ মুচকি হেসে ,কেউ ফিকফিক করে হেসে, কেউ খিকখিক করে হেসে কেউবা অট্টহাসি হেসে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়।ভূমিষ্ঠ হবার সাথে সাথেই মাকে কোলে নিয়ে বসে । সন্তানের কোলে চাপার প্রথম অভিজ্ঞতা সব মায়েদের অভিনব। দোলনা থেকে মাকে কোলে নিয়ে নবজাত সন্তানের প্রথম কাজ হলো মাকে খেতে শেখানো। ছানার থালায় আসে সোনার পোলাও, বেসনের বাটিতে আসে রূপোর ডাঁটা ছেঁচকি, আটার বাটিতে আসে হীরের কষা মাংস। সন্তানের কোলে চেপে মা এসমস্ত খাবার খেয়ে লম্বা ঢেঁকুর তুলে ঘুমাবার জন্য বায়না ধরলে নবজাত সন্তান অতি দক্ষতার সাথে মাকে তুলোর খাটে কাঠের বালিশে ডিজে গান শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে তবে নিজে খেতে বসে। খাওয়াদাওয়ার শেষে একটা পান্নার উচ্ছে মুখে পুরে মুখশুদ্ধি পর্বটা সেরে ফেলে। ঘুমন্ত মায়ের ঘুম গাঢ় করার জন্য কাঁসর ঘন্টা বাজাবার ব্যবস্থা থাকে সব ঘরে ঘরে। এরপরে কেকের তৈরী ঘরের চকলেটের দরজায় পনীরের তালা লাগিয়ে নিশ্চিন্তে রাত জাগে।