সুদীর্ঘ বটবৃক্ষের মতো দাঁড়িয়ে আছো সেই অনাদি অনন্ত কাল ধরে।
তোমার সবুজ বুকে বৃষ্টি-জল, কষ্ট- জল,শিশির ফোটায় সুখের জল ভেসে যায়।
মহীরুহ হয়ে কতোজন কেই আশ্রয় দাও।
সূর্য যেমন কিরণ ছড়ায় নিঃস্বার্থ ভালোবাসায়।
তোমার চোখে চোখ রেখে দেখি এ চোখ অনেক অভিজ্ঞতায়,অনেক যন্ত্রণায় মাখামাখি।
চোখের নোনা জল বাষ্পীভূত হলেও চোখের
তলায় কোথাও তো দুঃখ লেখা থাকে না।
থাকে চোখের মনির মধ্যে গেঁথে।
মুক্তা যেমন সুক্তির বুকে।
আসা মানেই যাওয়া আর যাওয়া মানেই আসা।
এমনই বৃত্তাকারে বছর মাস দিন ঘুরতে থাকে।
স্বপ্নময় চোখে আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে ছোট্টো পায়ে চলতে শেখা।
তারপর কতো অজানা দীর্ঘ পথ হাঁটতে হাঁটতে শব্দের পাড় বেয়ে চলেছো সুরম্য পথ, অজানা পথ, অগম্য পথ,নিজেকে হারানোর পথ।
এমনই পথ চলায় তুমি কখন যেন আমার কষ্ট মাখা বুকে ঢুকে গেছো।
কেউ যেন বলেছিল বুক থাকলে কষ্ট হয়!
তবে এ কষ্ট হৃদয় আক্রান্ত হবার নয়।
এই কষ্ট সারাটিক্ষণ জড়িয়ে থাকা, পরম প্রেমিকের মতো।
আমি তখন বহমান রূপকথা নদী, বয়ে চলি
তোমার মনের আনাচে কানাচ।
তুমিও বর্ষার মতো পরম পুরুষ হয়ে আসো,নদীর বুকে লাগে আদরের ছোঁয়।
যেন মৃদু উচাটন লাগে ধুকপুকে,তাই কি
এতো চঞ্চলতা!আনন্দ!বেদনাও?
কে তুমি আজনবী?
যেন কতো জনম ধরে চিনি তোমায়?