অস্তাচলে রবির ঢলঢলানি অনেক অলিগলি বেয়ে
নিস্তরঙ্গ পাথুরে চোখের সমুখে।
বাহ্যজ্ঞানহীন অধুনা যাপন অতলতলে হাতড়েও
পেল না হীরে জহরত বা মুক্তোর সন্ধান!
ভূতত্ত্বের মহাগুণে অজ্ঞ জ্ঞান অজ্ঞানের দোলায়
দুলতে থাকে রাতদিন দিনরাত…
মানব-জমিন আবাদ করলে তবু ফলত সোনা-
দিন-গুজরানে অঝোর তুষারপাতে হিমাঙ্কের নীচে
শয়ান থাকি অসম্ভব অবাস্তব সুখে!
এতক্ষণেও কেন বাজছে না ডমরু-দামামা
শিরায়-শরায় সতর্কতায়?
আবার আবার তাপে-উত্তাপে আলোক-বিচ্ছুরণে
যুবকের হতেও তো পারে প্রাতঃকালের শুভসূচনা!
আবার অস্তাচলের দিনমণির অধর-প্রান্তে
হাসিও জাগবে ঝিলিক্ ঝিলিক্-
সেই সেই ঝলকানিতে পথিকের গলদ পায় খুঁজে
বিশল্যকরণীর সুখ বিষম বিষাক্ত অসুখে।