জমজমাট রাস্তায় সাতসকালে দুর্ঘটনা–
অগত্যা গাড়ির আসনে স্টিয়ারিং ধরে বসে থাকা—
দুর্ঘটনা যানজট নিত্যকার ব্যাপার–
একটি অষ্টাদশী মেয়ে এগিয়ে এসে বলল ফুল নেবে??
নাও না মাসী মার অসুখ তাই দোকান বন্ধ—
কৌতূহল বশত বলি কিসের দোকান রে??
বলল নাও না একটা গোলাপ ফুল—
সব ফুলগুলো নেব,বললি নাতো কিসের দোকান—
এদিক ওদিক তাকিয়ে বলে ভালোবাসার দোকান—
সেখানে কি বিক্রি হয় রে মেয়ে??
তুমি বড্ড বোকা গো ,শরীর বিক্রি হয়–
আমি গোলাপ বেচি বাবুদের
আর মা ঐ গোলাপ আমায় দেয়।
আবার বেচি সেই ফুল
ফুলের দাম দিয়ে বললাম ফুল লাগবে না।
না না এটা ভালোবাসার ফুল নয়
আচ্ছা নেব, তোর নাম কি বল?
মেয়েটির খিলখিলিয়ে বলে অভাগী
তা তোর বাবা কি করেন রে অভাগী?
মায়ের ভালোবাসা বেচে গো মাসী,–
আমায় বলে অভাগী বড় হয়ে গেছিস
তোকেও তো ব্যবসার হাল ধরতে হবে।
মা বলেছে পালিয়ে যা অভাগী
পড়াশোনা কর বড় হতে হবে।
আচ্ছা অভাগী তুই স্কুলে পড়িস?
ছোট ছোট মেয়েদের সাথে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি
তোর বয়স কত রে অভাগী?
যখন তোমার একুশ বছর হয়ত আমি অষ্টাদশী
শোন পড়াশোনায় বয়স লাগে না
পড়াশোনা করে যা
তোকে সবাই নষ্টা মেয়ে বলবে!!
আবার অভাগীর সাথে দেখা এক নির্জন রাস্তায়—
হাতে একটা খাবারের প্যাকেট—
গাড়ি থেকে নেমে বললাম অভাগী ফুল কোথায়??
মাসি এই কাজটাকে ভালোবাসা বলে??
আমি বলি কোন কাজটাকে রে অভাগী
যার বিনিময়ে খাবার দিল ঐ বুড়োটা
কে করল তোর সর্বনাশ?
না মাসী সর্বনাশ করতে পারে নি
দিয়েছি চোখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে
যায় গো মাসি মার সাথে বোঝাপড়া আছে।
আজ থেকে ভালোবাসার দোকান বন্ধ।
শুনে রাখো মাসি আমি কোন নষ্টা মায়ের কষ্ট ছুঁয়ে বলছি
আমি নষ্ট মেয়ে হতে চায় না,এমনকি পথভ্রষ্ট হতে চাই না।
আমি অনেক অনেক বই পড়ে স্কুলের দিদিমনি হতে চাই
তর্জনী তুলে কেউ না বলে
ঐ চলেছে রিনিঝিনি পায়ে অষ্টাদশী