নিঝুম নিস্তব্ধ রাত বর্ষণ মুখর,
শ্রাবণী পূর্ণিমা আজ জ্যোৎস্না ভরপুর।
গোপনে চলেছে রাই অভিসারে,
স্বর্ণরথ ছুটে চলে নিকুঞ্জ পথে ‘পরে।
নূপুর নিক্কন পায়ে, মুক্ত কালো কেশ,
নীলাম্বরী সাজেকে উজ্জ্বল আবেশ।
কখনো চাঁদের আলোয় দৃষ্ট বৃষ্টিস্নাত দেহ আবরন,
নাগকেশর,চাঁপা, কদম গন্ধে ব্যাকুল সমীরণ।
বরষার ঘনঘটা বিজলী খেলে তায়, প্রকাশিত অবয়বে তাঁরে চেনা যায়।
চলেছে রাই নিকুঞ্জে করবী কুন্দ মালা গলে,
গুরু গম্ভীর মৃদঙ্গ বাজছে দূর গগন তলে।
শাওনের তিথি শ্রীমতী এসেছে এই বাসনায়,
শ্যাম সনে দুলিবে যে কুসুম দোলায়।
নিধুবনে আজ দেখবে সে লীলা শশী লুকিয়ে মেঘ কোলে,
খুশিতে শিখী নাচবে কলাপ তুলে।
রথ হতে নেমে ঘনশ্যাম পাশে শ্রীমতী দাঁড়ায়,
নীলাম্বরী বেশ যেন জ্যোৎস্নার ঢেউ দেহ যমুনায়।
গোপিগণ সনে চলে রাই ধীরে ঠমকে,
বংশীধ্বনি উঠে বেজে মধুর গমকে।
রাই সনে স্নিগ্ধ প্রেমে দোলায় দোলে হরি,
কাটে না প্রহর খুশিতে স্তব্ধ বিভাবরী।
নাচে তরুলতা,উতল পবন, গোপিগণ সুখে চঞ্চল,
হাতে হাত ধরে করতালি দিয়ে নৃত্যে বিহ্বল।