শীত মেখে মেখে কেটে যাক নিদাঘের দুপুর,
রাত্রিগুলো বড় বেদনা তুমিহীন একায়,
পাকুর শাখে গান বাঁধি নিরালায়,নিভৃতে-
ঘন কুয়াশায় কান্না ঝরেছে সারারাত।
আকাশ খেলে সূর্য-তারায়,কৃষ্ণগহ্বরে ভীতিহীন,
এ বুকের মাঝে গোপন রেখেছি যে দহন জ্বালা-
আজ শ্রাবনে বৃষ্টিঝরুক শীতল করে প্রাণ।
হাজার স্মৃতির মালা পরি কে বলে আজ একা ?
আমি শব্দহীন হতে পারি এ বিমূর্ত সময়ে,
মনে রেখো এখনো বিকিয়ে যায়নি লোভের দাসত্বে।
এখনই ছুঁড়ে দিতে পারি শব্দহীন আগুনে এ দেহ,
আঘাত করতে পারি কবিতার বজ্রবানে সত্যের আহ্বানে।
রোদ চশমার আড়ালে যতই মাপ অবিবেচক মুহূর্ত,
ভুলো না বিধাতার দাঁড়িপাল্লা ঠিক মেপে দিয়েছে।
ভাতের থালায় তাই তো খুঁজে পাই মেহনতি মানুষ-
আজও যাঁদের স্বপ্ন খোঁজার অভিযান গ্রাম,গঞ্জ,নগরে।
ফসলের স্বাদ-গন্ধহীন ও কপালে স্বেদবিন্দু ঝরে সমানে,
অবসরেও অবসরহীন ছুটে চলি ব্যস্ত মাঠের কোন্দরে
ঘাম মোছাতেই মুখে হাসি,চোখ বোজে তার সুখে,
লাঙ্গল ফলায় রক্ত ছোঁয়ায় লিখবো- যে কবিতাটি মোছে না।