আমার এত দিনের বিশ্বাস,প্রশ্বাস
সবকিছুই অমাবস্যার চাঁদের মতোই
আমাকে আলোকিত করেছিল,
ক্লান্ত শরীরে আমি সেই আলোর কোলে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
একটা অবিশ্বাসী স্বপ্ন এসে আমাকে অনেক ডাকলো,
তাকে কোনোরকম পাত্তা না দিয়ে
ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে
আমি পাশ ফিরে আরো নিশ্চিন্তে
ঘুমিয়ে থাকার চেষ্টা করলাম..
কিন্তু,ঘুম আর এলো না…
আমি উঠে বসলাম…
দেখলাম ভোরের পবিত্র আলোয় ভেসে যাচ্ছে ঘর,
যে মুহূর্তে আমি আবিষ্কার করলাম এটাই তো আলো, প্রজ্ঞার আলো,মনুষ্যত্বের আলো,
বোধের আলো,সত্যের আলো!
ঠিক সেই মুহূর্তে আমার ভাগ্যের সাথে
আবারও দেখা হলো।
মৃদু হেসে সে আমায় জিজ্ঞাসা করলে
“ভালো আছো তো”?
আমার কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে এলো,
নয়ন ঝাপসা হয়ে এলো,
আঁচলে দুচোখ মুছে ভালো করে তাকালাম,
ভাগ্যকে কোথাও দেখতে পেলাম না…
পেলাম কেবল এক আকাশ ভর্তি আয়না,
সবাই সে দিকে পেছন ফিরে দাঁড়িয়ে আছে,
সামনে ঘুরলেই যদি নিজের সাথে দেখা হয়ে যায়,
তাই বড্ড সাবধানী!
আমি সাহস করে গুটিগুটি পায়ে
আয়নার দিকে তাকালাম,
দেখলাম আমার সেই অবিশ্বাসী স্বপ্নকে,
যাকে দুঃস্বপ্ন ভেবে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম কোনো এক পূর্ণিমার রাতে,
সেই বড্ড নিঃস্বার্থ,
দৃঢ় কিন্তু সাহসী,
কঠোর অথচ সত্য,
নির্মম হলেও বিশ্বাসী,
আসলে নিষ্ঠুরতাকে ভরসা করে আমিই
সত্যের নগ্নতাকে অস্বীকার করেছিলাম!
এ আমার ভুল!
যে ভুলের কোনো প্রায়শ্চিত্ত হয় না!
কখনো না,কোনোদিনও না!