আমি মৃণালিনী দেবী,নামের পরে বসে না পদবী
একমাত্র কবি রবি তার স্ত্রী বলে করেন দাবী।
অবিভক্ত বাংলার খুলনা জেলার গ্রামে
চিনতো সবাই আমায় ভবতারিণী নামে।
অশিক্ষিতা হলেও চাপা রঙে রূপময়ী
তবুও আমি সুদর্শনা গভীর ব্যক্তিত্বময়ী।
দেবেন্দ্রনাথের ঐকান্তিক ইচ্ছায় তাঁরই নির্দেশনায়,
বিবাহবাসর হয় জোড়াসাঁকো মহর্ষিভবন কলকাতায়।
আমার পিতা বেণীমাধব রায়চৌধুরী
সঁপে রবির হাতে পাঠালো আমায় শ্বশুরবাড়ি
কনকাঞ্জলি নিল মাতা দাক্ষায়ণী
ব্রাহ্মমতে আমি হলাম রবির অবহেলিতা সহধর্মিনী।
ভাগ্য করে পেয়েছিলাম স্বামী এমন মহান
আমার চেয়ে বৌঠানের প্রতি তার বেশি টান
তবুও গর্ভে ধরেছি তার পাঁচটি সন্তান
আত্মত্যাগেও পাইনি আমার যোগ্য মান।
দূরারোগ্য ব্যাধি এলো নিতে সূতিকাগ্রস্ত প্রাণ
সেখানে কবির সেবা শুশ্রূষায় নিজস্ব অবদান।