অবণীকে হয়তো বা মনে নেই কারও
নোনা ধরা বাড়িটাও পাল্টেছে ভোল
সেখানে তুলেছে মাথা উঁচু ইমারত
দাঁড়িয়ে রয়েছে এক সম্রাট হয়ে।
গলিটাও পাল্টেছে জীবনের ধারা
আঁশটে গন্ধ মাখা ঘোলাটে বাতাস
গ্যাসবাতি জ্বলে জ্বলে ঘুমন্ত আলো
পশুতর দিনলিপি যেত ধীর লয়ে•••
সেখানে এখন বয় খোলা হাওয়া রোজ
রোশনাই আলোময় আগাপাশতলা
মানুষ ব্যস্ত খুব সময় চাকার
নিয়ত অর্থের খোঁজে চলন্ত গতি।
গলিটার ইতিহাস জানে নাতো কেউ
কবে কে করছে বাস কোন ভাঙা ঘরে
অপরিচিতের বাস পাশের বাড়িতে
মনের ঘরেতে তার হয়ে গেছে ক্ষতি।
অবণীর পরিচয় জানা নেই কারও
পায়জামা পাঞ্জাবি এলোমেলো চুল
একহাতে আধ খাওয়া সিগারেট ধরা
কলমের ঘষটানি খাতার পাতায়।
খুঁজে খুঁজে অবশেষে খোঁজ মেলে তার
কষ্টেতে বেঁচে আছে পাগলা গারদে
পুলিশের দাবড়ানি চোখ জ্বালা গ্যাস
আঁধারের ছায়া ঘিরে রেখেছে মাথায়।
অবণীর প্রতিবাদে উঠেছিল ঢেউ
কেউ কেউ চেয়েছিল বেচে দিতে গলি
দলের টিকিট নিয়ে লড়েছিল ভোট
হার মেনে নিতে হলো অর্থের দামে।
মুচকি হাসলো সব অবণীকে দেখে
তারপর কেউ তার নিল নাতো খোঁজ
অবণীর প্রেমিকাও ছেড়ে গেছে তাকে
এখন সে বাস করে ভিন কোন গ্রামে।
এলোমেলো কথাগুলো হয়না সাজানো
অবণীর দিনলিপি বড় বেমানান
নির্বাক সকলেই তার কথা নিয়ে
একদিন সেই ছিল এলাকায় সেরা।
জানা গেল অখ্যাত খবর কাগজে
লিখেছিল কোন এক খোলা তলোয়ার
অবণী কোথায় ছিল এখন কোথায়
কিভাবে কেমন করে পড়লো সে ধরা।
দাঁড়িয়ে রয়েছি আমি পাগলা গারদে
অবণীর আজ নাকি হতে পারে ছুটি
গলির সে বাড়িটার মস্ত দালানে
অবণীর নামে আছে তিনখানা ঘর।
কটাদিন জীবনের কাটুক সেখানে
একটু নিঃশ্বাস নিক খোলা বাতাসে
কবিতার খাতাটায় আঁচড় কাটুক
অচেনারা মনে হয় করবে না পর।