যেন কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প
জামালুদ্দিনের টিকিস টিকিস গোরুর গাড়ির পাশ দিয়ে ঝমঝমিয়ে ছুটে যায়
সাঁইথিয়া লোকাল
জামালুদ্দিন গাড়োয়ান অবশ্য গল্পটা জানে না।
বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে ট্রেনটাকে গ্রাহ্যই করে না সে
আর ওইসব ইস্কুলে-পড়া গল্প আজকাল জীবনে মেলে নাকি?
কচ্ছপরা কবে হেরে ভূত হয়ে গেছে, আর
খরগোশরা টপাটপ বুক পেতে দিচ্ছে ছুরির নীচে
সাঁইথিয়া লোকাল বড় একটা লেট করে না, পেট ভর্তি মানুষ নিয়ে
ছুটে যাচ্ছে রোজ
কোনদিন কে ইঞ্জিন চালায় কেউ জানে না
গোরুদুটোর আগেই জামালুদ্দিন বুড়ো হয়, ঝুঁকে পড়ে
গতবারের খরায় একটা গোরু গেল গোভাগাড়ে, অন্যটাকে
তাড়াতাড়ি বেচে দিতে হল অণ্ডালের হাটে
এখন জামালুদ্দিন ধুঁকতে ধুঁকতে হাঁটে, মাটির দিকে চেয়ে চেয়ে,
ট্রেনের শব্দ শুনে ফিকফিকিয়ে হাসে
এটাকে একটা অন্য গল্প বলা যায় না?