হে ভগবান;
দিও যত খুশি অপমান
তব মানবেরও পায়ে লুটায়ে পড়িব আমি
জীবনে না হয় দিলে কিছুই দামি;
মরণের পরে দিও গো একটু স্নেহাশিস
মোর প্রতি দিওগো একটু মান
দিওগো একটু সম্মান।
সমালোচনা করিছে মোরে লয়ে পল্লীবাসীর কত গুণীজন
নাই নাই ঠাঁই নাই মোর হেথা বলিছে প্রিয়জন
আকাশের মৃত নক্ষত্রের নিচে–
কালো দাগের পাশে একদিন দেখিবে মোরে;
রব হেথা আমি একা পড়ে
রবো হেথা সেই দিন তোমাদের হতে বহুদূরে।
কর্মের মাঝে খুঁজেছিলাম ধর্ম
মর্মের মাঝে বুঝেছিলাম কর্ম
অসহযোগ তবু এসেছিল ক্রমে ক্রমে
কে বলিছে সেথা আমি নাই?
আমি যে রহিয়াছি তোমার চরণের ধুলায়
হে রবীন্দ্র নগর;
একদিন তোমরা গুণবে প্রহর,
আমি বসে থাকিব তোমাদের ছায়ায়
হয়তো সেদিন ভালোবাসবে আমায়
আমি রবো সেই দিন স্মৃতির আদরণীয় মায়ায়।
কবি হতে আসি নাই আমি
আমি আসি নাই কোন স্বার্থের ভেলায় ভাসিতে
আমি আসিয়া ছিলাম প্রকৃতির হাওয়ায় ভাসিতে ভাসিতে
সময়ের কথা বলিতে বলিতে পৌঁছতে তোমাদের সংস্পর্শে,
আজ সময় আবার
থামায়ে দিতে চাহে বাক্য আমার;
বিরোধী মনের চাপে প্রতিহত হই
নির্বাক পৃথিবীতে আমি হতবাক হই বারবার।
তোমাদিগকে প্রণাম হে নগরবাসী;
যদি কোনদিন হৃদয়ের মাঝে আসে আনন্দের হাসি
তোমাদের সাথে দেখা হইবে আবার
মিলনের মাঝে এই আসা যাওয়া
এই খেয়া পারাপার।