হঠাৎ আমি ছেলেবেলা পেতাম যদি ফিরে
ছুট্টে যেতাম নদীর ধারে রূপণারায়ণ তীরে ।
ছুট্টে যেতাম আমার গ্রামে সবুজ মাঠের মাঝে
আর যেখানে পাঠশালাতে ছুটির ঘন্টা বাজে ।
আর যেখানে খেঁজুর তাল ও টোপা কুলের গাছ
অলস দুপুর সাঁতার কাটা পুকুর ঘাটের মাঝ ।
আসতো ফিরে বিকেলগুলো গোধূলীর রং লাল
নদীর উপর ছোট্ট নাওয়ে ধরতো মাঝি হাল ।
নদীর জলে খেলতো কেমন তারোই মাছের দল
গরম দিনে শিউলি পুকুর কাকচক্ষু জল ।
বসে বসে ছিপ ফেলতাম বন্ধু সুজন মিলে
ফিরতে দেরী মা রাগতো , পিঠ বাঁকতো কিলে !
তবুও মায়ের আদর মাখা স্নেহের পরশ খানি
দুই নয়নে জলের ধারা বুকের মাঝে টানি ।
ছেলেবেলার দুষ্টুমি আর খুনসুটি মাখা মন
ঝগড়া-ঝাঁটি ভাব-আড়ি আর ভেংচি কাটার ক্ষণ।
পেতাম যদি ছোট্ট বেলার ছোট্ট সকল সাথী
আসতো ফিরে নেড়াপোড়ার মজার সেসব রাতি !
আসতো ফিরে গুরুমশাই শাসন করতো যারা
আসতো ফিরে সে সব দাদা মাতিয়ে রাখতো পাড়া !
সকল খুশি ফিরতো আবার ছেলেবেলার সাথে
ফিরতো সময় সেসব নিয়ে হাতটি রেখে হাতে ।
স্মৃতির মাঝেই স্মৃতি চারণ বড্ড মনে পড়ে
হারিয়ে গেছে সুখের সময় সুখ গুমরে মরে !