আজ নয় কাল করব ভেবে ভেবে-
কাজের আলস্যে যদিও আছি ডুবে,
সময় যায় এমনি অলসতা করেই ভবে,
সম্মুখে যে গহন আঁধার জাগব কবে?
ভাবি ভাবনায় এবার ধরবেই জং,
এখন অসার চেতনায় সবই ভড়ং
জগৎ পারাবারের সমস্ত উজ্বল রং-
ক্রমশঃ বিলীন স্থির সিঁড়ির রেলিং।
স্থাণুবৎ পড়ে আছি যেন জীবন্মৃত,
অন্তরে কল-কল্লোল চলে অনবরত,
বাঁচতে হবে তবু বাঁচারই মতো;
অজ্ঞানতা এখনও হলনা দূরীভূত।
কিন্তু সচল জীবনে যে বিপদ শত!
পঙ্কিল পথে পড়বো অসাবধানতাবশত,
ষষ্ঠেন্দ্রিয় যে সর্বদা থাকে না জাগ্রত;
তাই সর্বসুখ আলস্যে কর্মে হই ত্রস্ত।
আমার মতো আছে যারা মানসিকতার,
নিরন্তর কলুষিত করছে এই সংসার,
কর্মের আবহেই আছে শান্তি অপার;
তবু আত্ম-শ্লাঘায় কাহিল বারবার।
সময় নিয়ে অসময়ে চিন্তা কিসের!
মূহুর্তের মধ্যে শেষ হয় সীমা জীবনের,
অতীত ভবিষ্যত নিয়ে সময় নেই ভাবার,
সেসব নাহয় জমা থাক খাতায় ঈশ্বরের।
কাল পরশুর হিসেবে অনিত্য জীবন,
কেবলই ভারাক্রান্ত হৃদয়ে চলে অশ্রুবর্ষণ,
তার চেয়ে মূহুর্তের বুকে চেয়ে নিয়ে ক্ষণ,
আঁকড়ে ধরো না আজ এ মূহুর্তে চার্বাক দর্শন।
ভগবদ্গীতায় যতই হোক না আন্তরিক স্নান-
মূহুর্তের ভুলে অকালে ঝরে যায় এ প্রাণ,
তখন কি আর সঙ্গে যাবে উপনিষদের জ্ঞান!
হাহাকারে ব্যস্ত মানুষের হবে মূহুর্তেরই সম্মান।
যতটুকু বাঁচা মূহুর্তের ক্ষণ আনন্দে থাকি মত্ত,
তুমি-আমি,আমরা যেটুকু নিঙরেছি বসন্ত,
অনুতাপ না করে আবেগের সেই সব মূহুর্ত;
বিনা দুঃখে করব বরণ আসলে জীবনের অন্ত।।
বহুদিন পর প্রত্যাবর্তনের দিশায়,
সব সকাম,নিষ্কাম কর্মের বার্তায়-
ফিরে যেতে চাই নবতম কর্মশালায়;
আলস্যের বেলাভূমি ত্যাজি হেলায়।।