যে কবিতা খানি লিখবো বলেই বাড়িয়েছিলাম হাত
সারাদিন রাত ভেবেও পাইনি কবিতার আস্বাদ।
কতো তারা শুধু নেভে আর জ্বলে নীল আকাশের গায়
কতো ফুল ফোটে নানা ফুল বনে, মৌমাছি শুধু আসে যায়।
কতো পাখি গায় হাওয়া দোলা দেয়,কতো আশা জাগে প্রাণে
কতো নিশি যায় জাগরণে হায় প্রিয়া সে বারতা জানে।
দুহাত বাড়াই কবিতা লিখবো নতুন কাগজ কলমে
কি জানি কেন যে কতো মনে পড়ে
পুরানো সাথীকে সেদিনে।
যত ভাবি লিখি শিরোনাম দিয়ে তারিখ লেখাও শেষ হয়
কেন তা জানিনা কবিতা আসে না
আকাশে বিজলী চমকায়।
সারারাত ধরে কি বাদল ঝরে মেঘনাদ ধ্বনি শোনা যায়
হে বধূ প্রেয়সী কবিতা ই লিখি সাদা কাগজের গায়।
রাত ভোর হয় ঘুমের জড়তা তবু যেন চোখে লেগে রয়
অনেক লেখার ক্লান্তিতে চোখ আপনার থেকে বুজে যায়।
বেলা বেড়ে গেলে কাজ মনে এলে উঠে বসি সেই বিছানায়
খাতা টেনে নিই কি লিখেছি রাতে মনের প্রবল বাসনায়।
লেখা ভরা পাতা খুঁজি ইতিউতি সেটা কি কোথাও দেখা যায়
কবিতা কোথায় সারা পাতাজুড়ে প্রিয়া নাম লেখা খাতাটায়।
জানি না সে ভোরে কোন ঘুমঘোরে বেদখল ছিলো হাতটায়
শুধু তুমি আর শুধু তুমি ছিলে প্রিয়া এ কবির ভাঙা মনটায়।
ও রূপ নেহারি মনে বলিহারি এই ছিলো যদি কবিতায়
স্বপ্নের মাঝে তুমি চলে এলে সাদা কাগজ তো হবে শেষটায়।।