আজ রাতে শেষ হ’য়ে গেল শীত- তারপর কে যে এলো মাঠে-মাঠে খড়ে
হাঁস গাভী শাদা-প্লেট আকাশের নীল পথে যেন মৃদু মেঘের মতন,
ধানের সোনার ছড়া নাই মাঠে- ইঁদুর তবুও আর যাবে নাকো ঘরে
তাহার রূপালি রোম একবার জ্যোৎস্নায় সচকিত ক’রে যায় মন,
হৃদয়ে আস্বাদ এলো ফড়িঙের- কীটেরও যে- ঘাস থেকে ঘাসে-ঘাসে তাই
নির্জন ব্যাঙের মুখে মাকড়ের জালে তারা বরং এ অধীর জীবন
ছেড়ে দেবে- তবু আজ জ্যোৎস্নায় সুখ ছাড়া সাধ ছাড়া আর কিছু নাই;
আছে নাকি আর কিছু? পাতা খড়কুটো দিয়ে যে-আগুন জ্বেলেছে হৃদয়
গভীর শীতের রাতে- ব্যথা কম পাবে ব’লে- সেই সমারোহ আর চাই?
জীবন একাকী আজো- ব্যথা আজো- এখন করি না তবু বিয়োগের ভয়
এখন এসেছে প্রেম;- কার সাথে? কোন্ খানে? জানি নাকো;- তবু সে আমারে
মাঠে-মাঠে নিয়ে যায়- তারপর পৃথিবীর ঘাস পাতা ডিম নীড়ঃ সে এক বিস্ময়
এ-শরীর রোগ নখ মুখ চুল- এ-জীবন ইহা যাহা ইহা যাহা নয়;
রঙিন কীটের মতো নিজের প্রাণের সাধে একরাত মাঠে জেগে রয়