আমার বুকের উঠোন জুড়ে
অযুত-নিযুত শব্দেরা ঘুরে
কখনো,সেজে ওঠে তারা
অপরূপা -অনিন্দ্য-মনোহরা
অলঙ্কারে–উপমা বিন্যাসে–
ছন্দিত তালে,সুরে ওঠে হেসে
মেঘকালো এলোচুলে-তারাফুল গুজে
ওষ্ঠে বিলোল কটাক্ষ
ঠিক যেন,নাটোরের বনলতা সেন !
আমার বিমুগ্ধ চোখ পলকহীন যেন!
কখন বা,শব্দেরা –মেঘের পাল্কীতে বসে
হাওয়া খেয়ে বেড়ায় নীলাকাশে–
আমাকেও ইশারায় সামিল হতে বলে
মনতো ছুটতেই চায়,তবু পারিনে —
কচি -কাচা শব্দছানারা আমার আঁচল ধরে টানে
আহারে!দুধের বাচ্চাদের ফেলে
যাই কি করে বলো ?
দেখো,কেমন জাপ্টে আছে উদোমবুকে —
চোখ করে ছলোছলো !
আমি ওদের শান্ত করে,
অবুঝ ডাগরপানা শব্দদেরে নিয়ে-
সাজিয়ে তুলি –ছড়া –কবিতার
রেশম-কোমল পোশাকে
ওরা খুশিতে ডগমগ হয়ে চলে –
কাবগ্রন্থের মোড়কে-
আমার দিন–রাতের যাপন সাথী শুধু
ভ্রমরীর মতো গুঞ্জরিত শব্দ-মধু
তাদের ঘিরেই বসত গড়তে চাই-
অগুনতি -মনের ঠিকানায় –
জীবন তো সাময়িক,– তাই
ভালবাসাও কাঙালপনায়
শব্দ সুন্দরীর আঁচল তলায়