ভীষণ রুক্ষ হয়ে আছে উত্তাল সময়ের উত্তপ্ত রুক্ষতা
চারপাশ গভীর ছুঁয়ে আছে
দুচোখের পাতায় তার ঢেউয়ের দমক ফুটে ওঠে
মাঝে মধ্যে কেমন যেন দুরূহ এই আচ্ছন্নতা
মুখোমুখি হয় ধুলোভাঙা পথে-প্রান্তরে
পেরিয়ে যাই ঝলসানো চরাচর,দগ্ধ মুহূর্তগুলো
বাতাসের ভাঁজে ভাঁজে পাক খাওয়া দীর্ঘশ্বাসে
তোমার পিছু ডাকের আকুলতা
অথচ শূন্য থেকে গড়িয়ে পড়া অলৌকিক রুক্ষতায়
এ’মুখ রা কাড়ে না তখন
তবুও ফিরে তাকানো ঘিরে যে ভালোলাগা না লাগার
অদ্ভুত শিহরণ ছিল, আজও তা আছে
শুধু অনুচ্চারিত শব্দবন্ধে পরিচিত কোন সংকেত নেই
যেন লজ্জাবতীর মতো ছুঁলেই চোখ বুজে
দেবে সাড়া যখন তখন
আমি তাই সনাতন আবেগেই অপেক্ষায় থাকি নিরন্তর
এক অপূর্ব উদ্বিগ্নতা আমাকে তীব্র করে তোলে
এই উত্তাল সময়ের উত্তপ্ত রুক্ষতার ভেতর, তবুও ।