তেজ সিংয়ের ছাউনিতে
প্রাতঃকাল। তেজ সিংয়ের ছাউনিতে প্রাত্যহিক কর্মসুচনা আরম্ভ হইয়াছে, সিপাহীরা কুচকাওয়াজ করিতেছে। তেজ সিং তাহাদের পরিচালনা করিতেছেন।
কুচকাওয়াজ শেষ হইলে সিপাহীরা তাহাদের বন্দুকগুলি একস্থানে মন্দিরের আকারের দাঁড় করাইয়া চারিদিকে ছড়াইয়া পড়িল। তেজ সিং নিজ শিবিরে প্রবেশ করিলেন।
এই সময়ে শিবিরচক্রের বাহিরে বাঁশীর শব্দ শোনা গেল। সিপাহীদের মধ্যে কেহ কেহ ঘাড় ফিরাইয়া দেখিল, তারপর কৌতূহলপরবশ হইয়া দাঁড়াইয়া পড়িল। ভিস্তিযুগল কাঁধে বাঁক লইয়া ঝরনা হইতে জল ভরিয়া ফিরিতেছে, তাদের পিছনে অপরূপ দুটি মূর্তি।
মূর্তি দুটি ভীমভাই ও তিলু, কিন্তু অভিনব সাজ-পোষাকের ভিতর হইতে তাহাদের চিনিয়া লওয়া দুষ্কর। ভীমের পোষাক কতকটা কাবুলী ধরনের, থুতনির কাছে একটু দাড়ি গজাইয়াছে, মাথায় জরীর তাজ। তিলুর রঙচঙা ঘাগরা ও ওডনির কোমরবন্ধ দেখিয়া তাহাকে বেদেনী বলিয়া মনে হয়; তার পায়ে ঘুঙুর, হাতে ঘষ্টিদার করতাল, মাথায় একখণ্ড লাল কাপড় জড়ানো।
ভিস্তিদ্বয় এই অবাঞ্ছিত সঙ্গীদের লইয়া বিশেষ বিব্রত হইয়া পড়িয়াছে। ঝরনাতলায় এই দুটি জীব বসিয়াছিল, তাহাদের সহিত কথা কহিতে গিয়া ভিস্তিরা দেখিল, তাহাদের ভাষা একেবারেই অবোধ্য। ভিস্তিরা প্রথমে খুবই আমোদ অনুভব করিয়াছিল, কিন্তু তাহারা যখন জল লইয়া ফিরিয়া চলিল তখন দেখিল ইহারাও পিছু লইয়াছে। তারপর সারাটা পথ তাহারা এই নাছোড়বান্দা অনুচর দুটিকে তাড়াইবার চেষ্টা করিয়াছে কিন্তু কৃতকার্য হয় নাই, ভীমভাই বাঁশী বাজাইতে বাজাইতে এবং তিলু নৃত্যভঙ্গিমায় ঘুঙুর ঝকৃত করিতে করিতে তাহাদের অনুসরণ করিয়াছে।
শিবির সন্নিধানে পৌঁছিয়া ভিস্তিদ্বয় বাঁক নামাইয়া অত্যন্ত বিরক্তভাবে ভীম ও তিলুর দিকে ফিরিল।
প্রথম ভিস্তি হাত নাড়িয়া বলিল,—এই যাঃ—পালাঃ—আর এগুবি কি ঠ্যাং ভেঙে দেব!
দ্বিতীয় ভিস্তি বলিল,-দেখছিস না এটা সিপাহীদের ছাউনি—এখানে এলে সিপাহীরা ঘাড় ধরে মটকে দেবে—
যেন বড়ই সমাদরসূচক কথা, তিলু উজ্জ্বল মধুর হাসিয়া ঘাড় নাড়িল, বলিল,–
সি সি পিন্টু কালা থিলি সী।
এই সময় দুইজন সিপাহী আসিয়া উপস্থিত হইল।
প্রথম সিপাহী বলিল,-কি হয়েছে? এরা কারা?
প্রথম ভিস্তি হতাশভাবে বলিল,-আর কও কেন। ঝরনাতলা থেকে আমাদের পিছু নিয়েছে—এত তাড়াবার চেষ্টা করছি কিছুতেই যাচ্ছে না।
দ্বিতীয় সিপাহী বলিল,—বেদে বেদেনী মনে হচ্ছে।
ভীমভাই সম্মুখে আসিয়া নিজের বুকে হাত রাখিল। বলিল,–
মি গুরগুট—থালা থালা মান্ডি। (তিলুকে দেখাইয়া) হাড্ডি মাসোমা চিল্লু-সী।
তিলু হাস্যোদ্ভাসিত মুখে ঘাড় নাড়িয়া সায় দিল, তারপর বিনা বাক্যব্যয়ে করতাল ঊর্ধ্বে তুলিয়া নাচিতে আরম্ভ করিল। ভীমভাই অমনি বাঁশীতে সুর ধরিল।
সিপাহীরা ইহাদের অদ্ভুত আচরণ দেখিয়া উচ্চকণ্ঠে হাসিয়া উঠিল। দেখিতে দেখিতে আরও কয়েকজন সিপাহী আসিয়া জুটিল, সকলে মিলিয়া এই বিচিত্র জীব-দুটিকে ঘিরিয়া ধরিল। তিলু তখন উৎসাহ পাইয়া নাচের সহিত গান ধরিল,-
চিচিন্ থুলা পিচিন্ থুলা পিন্টি থুলা রি
আন্ডি গালা ভাডি বালা হাল্লাহালা সী—
গিজিং ঘিয়া গিজিং ঘিয়া—
ক্ৰমে গীতবাদ্যের শব্দে আকৃষ্ট হইয়া ছাউনিতে যে যেখানে ছিল আসিয়া জুটিল। চক্রায়িত দর্শক-মণ্ডলীর হাসি মস্করার মধ্যে তিলুর কটাক্ষ-বিভ্রম-বিলোল নৃত্যগীত চলিতে লাগিল।
সর্দার তেজ সিং নিজ শিবিরে গিয়া বসিয়াছিলেন, দুর হইতে এই অনভ্যস্ত আওয়াজ কানে যাইতে তিনি ভ্রূকুটি করিয়া উঠিয়া তাঁবুর বাহিরে আসিলেন।
শিবিরবৃত্তের অপর প্রান্তে সিপাহীদের দল জমা হইয়াছে দেখিয়া তাহার ভুকুটি আরও গভীর হইল। তিনি সেই দিকে চলিলেন।
সিপাহীদের মজলিশ তখন বেশ জমিয়া উঠিয়াছে। তিলু নাচিতে নাচিতে কখনও একটি সিপাহীর চিবুক ধরিয়া নাড়িয়া দিতেছে, কখনও অন্য একটির বুকে করতালের টোকা মারিয়া দিতেছে—সঙ্গে সঙ্গে হাসির ফোয়ারা ছুটিতেছে। তেজ সিং আসিতেই সিপাহীদের হল্লা কিঞ্চিৎ শান্ত হইল, তাহারা সসম্ভ্রমে তাঁহাকে পথ ছাড়িয়া দিল। কিন্তু তিলুর চপলতা কিছুমাত্র হ্রাস পাইল না, তেজ সিংকে দেখিয়া তাহার রঙ্গ-ভঙ্গিমা যেন আরও বাড়িয়া গেল। সে প্রথমে তাঁহাকে ঘিরিয়া একপাক নাচিয়া লইল, তারপর সম্মুখে দাঁড়াইয়া তরলকণ্ঠে গাহিল,-
আওলা দুলা সি যাওলা থুলা রি
গিজিং ঘিয়া গিজিং ঘিয়া—
তেজ সিং প্রথমটা একটু সন্দিগ্ধ হইয়াছিলেন, কিন্তু ক্রমে তাঁহার মনের মেঘ কাটিয়া গেল। তিনি অনুমান করিলেন, ইহারা যাযাবর বেদে; ইহাদের অগম্য স্থান নাই–যত্রতত্র ঘুরিয়া বেড়ানো এবং নাচিয়া গাহিয়া পয়সা কুড়ানোই ইহাদের পেশা। তেজ সিং মনে মনে স্থির করিলেন, নাচ শেষ হইলে ইহাদের শিবিরে লইয়া গিয়া প্রশ্ন করিবেন, হয়তো ইহারা বারবটিয়াদের সন্ধান জানিতে পারে।
নাচ গান চলিতে লাগিল, তেজ সিং স্মিতমুখে দাঁড়াইয়া দেখিতে লাগিলেন।
ইতিমধ্যে এই মুগ্ধ-জনতার পশ্চাতে এক বিচিত্র ছায়াবাজির অভিনয় আরম্ভ হইয়া গিয়াছিল, তাহা কেহই লক্ষ্য করে নাই। শিবিরগুলির ব্যবধান পথে চারিটি মানুষ নিঃশব্দে প্রবেশ করিয়া সঞ্চিত বন্দুকগুলি সরাইয়া ফেলিতেছিল, হাতে হাতে বন্দুকগুলি শিবিরচক্রের অপর পারে অদৃশ্য হইতেছিল। মানুষগুলি আর কেহ নয়, প্রতাপ নানাভাই প্রভু ও পুরন্দর।
শিবিরের পশ্চাদ্ভাগে মোতি ও আরও সাতটি ঘোড়া দাঁড়াইয়া ছিল, বন্দুকগুলি তাহাদেরই একটির পিঠে লাদাই হইতেছিল। অবশেষে সমস্ত বন্দুক ঘোড়ার পিঠে লাদাই হইল, কেবল চারিজন শিকারীর হাতে চারিটি বন্দুক রহিয়া গেল। প্রতাপ বাকি তিনজকে ইশারা করিল, তারপর সকলে নিঃশব্দে অগ্রসর হইল।
ওদিকে নাচগানও শেষ হইয়াছিল, ভীমভাই ও তিলু নত হইয়া তসলিম করিতেই তেজ সিং বলিলেন,-
তোমরা আমার সঙ্গে এস–বকশিশ পাবে।
তিলু এবার বিশুদ্ধ সহজবোধ্য ভাষায় কথা কহিল,
মাফ করবেন সর্দারজী, আপনিই আজ আমাদের সঙ্গে যাবেন।
সকলে চমকিয়া দেখিল, ভীমভাই ও তিলুর হাতে দুটি পিস্তল বাঁশী ও করতাল কখন প্রাণঘাতী-অস্ত্রে রূপান্তরিত হইয়াছে।
ভীমভাই সিপাহীদের বলিল,-তোমরা কেউ গণ্ডগোল করো না। বলতে নেই গণ্ডগোল করলেই বিপদ ঘটবে।
ক্রোধে মুখ রক্তবর্ণ করিয়া তেজ সিং বলিলেন,–
একি! কে তোমরা?
তিলু বলিল,-পিছন ফিরে চেয়ে দেখুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন।
সকলে পিছন দিকে ফিরিয়া যাহা দেখিল তাহাতে চিত্রার্পিতের মত দাঁড়াইয়া রহিল। চারিটি বন্দুক তাহাদের দিকে লক্ষ্য করিয়া আছে। তেজ সিং ক্ষণকালের জন্য বিমূঢ় হইয়া গেলেন। এই ফাঁকে ভীম ও তিলু সিপাহীদের দল হইতে বাহির হইয়া দস্যুদের কাছে গিয়া দাঁড়াইল।
প্রতাপ বন্দুক হইতে চোখ তুলিয়া গম্ভীরস্বরে বলিল,
সিপাহীদের বলছি, তোমরা ছাউনি ছেড়ে চলে যাও নইলে বন্দুক ছুঁড়ব। প্রথমেই সর্দার তেজ সিং জখম হবেন।
সিপাহীরা পিছু হটিল। অস্ত্রহীন সিপাহীর মত অসহায় প্রাণী আর নাই। তেজ সিং কিন্তু বাঘের মত ফিরিয়া দাঁড়াইলেন, তরবারি নিষ্কাশিত করিয়া গর্জন করিলেন,
খবরদার! কেউ পালিয়ো না। ওরা পাঁচজন, আমরা পঞ্চাশজন। এস, সবাই একসঙ্গে ওদের ওপর লাফিয়ে পড়ি
সিপাহীরা দ্বিধাভরে ফিরিল। প্রতাপ বলিল,–
সাবধান, কেউ এদিকে এগিয়েছ কি আগে সর্দারকে মারব! যদি সর্দারের প্রাণ বাঁচাতে চাও, সব ছাউনির বাইরে যাও।
সিপাহীরা তথাপি ইতস্তত করিতেছিল, ভীমভাই হঠাৎ পিস্তল তুলিয়া শুন্যে আওয়াজ করিল। আর কেহ দাঁড়াইল না, মুহূর্তমধ্যে ছাউনির বাহিরে অদৃশ্য হইয়া গেল। কেবল তেজ সিং ক্রুদ্ধ হতাশায় চক্ষু আরক্ত করিয়া দাঁড়াইয়া রহিলেন।
প্রতাপ বন্দুক নামাইয়া তেজ সিংয়ের সম্মুখীন হইল। বলিল,-
সর্দার তেজ সিং, আপনি আমাদের বন্দী, আমাদের সঙ্গে যেতে হবে।
তেজ সিং প্রজ্বলিত চক্ষে প্রতাপের আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করিলেন। বলিলেন,
তুমি প্রতাপ সিং? (প্রতাপ মাথা ঝুঁকাইল) রাজপুত হয়ে তুমি এমন শঠতা করবে ভাবিনি—ভেবেছিলাম যুদ্ধ করবে।
প্ৰতাপ বলিল,-আপনি যোদ্ধা, আপনিই বলুন, পঞ্চাশজনের সঙ্গে পাঁচজনের যুদ্ধ কি সম্ভব? না-ন্যায়সঙ্গত? কিন্তু ও আলোচনা পরে হবে।–নানাভাই, সদারের চোখ বাঁধো। কিছু মনে করবেন না, তলোয়ারটি দিতে হবে। পুরন্দর, ঘোড়া নিয়ে এস।
সর্দার তলোয়ার ফেলিয়া দিলেন। পুরন্দর ঘোড়া আনিতে গেল। নানাভাই তিলুর মাথা হইতে লাল বস্ত্রখণ্ডটি তুলিয়া লইয়া সর্দারের চোখ বাঁধিতে প্রবৃত্ত হইল। সর্দার বাধা দিলেন না, সগর্ব নিষ্ক্রিয়তায় বক্ষ বাহুবদ্ধ করিয়া দাঁড়াইয়া রহিলেন।
ভীম ও তিলু পরস্পরের পানে চাহিয়া বিগলিতহাস্য বিনিময় করিল।
তিলু চুপিচুপি বলিল,-বাপপো নাগিনা—গিজিং ঘিয়া।
ভীম মুরব্বীয়ানা দেখাইয়া তাহার পিঠ চাপড়াইয়া দিল। বলিল,–
থালা থালা মান্ডি—গুরগুট।
.
দস্যুদের গুহা-ভবনের সম্মুখ। সারি সারি আটটি ঘোড়া আসিয়া দাঁড়াইল। সকলে অবতরণ করিল; তেজ সিংকে নামাইয়া তাঁহার চোখ খুলিয়া দেওয়া হইল।
প্রতাপ ঈষৎ হাসিয়া বলিল,-সদারজী, এই আমাদের আস্তানা। আমরা পরের ধন লুট করি বটে কিন্তু নিজেরা ভোগ করি না তা বোধ হয় বুঝতে পারছেন।
তেজ সিং উত্তর দিলেন না, গর্বিত ঘৃণায় চারিদিকে চক্ষু ফিরাইয়া কর্কশস্বরে বলিলেন,
এইখানে আমাকে বন্দী থাকতে হবে?
প্রতাপ বলিল,—হ্যাঁ। তবে যদি আপনি কথা দেন যে পালাবার চেষ্টা করবেন না তাহলে আপনাকে বন্দী করে রাখবার দরকার হবে না।
তেজ সিং বলিলেন,—তোমরা কাপুরুষ বেইমান, তোমাদের আমি কোনও কথা দেব না।
প্রতাপের মুখ উত্তপ্ত হইয়া উঠিল, কিন্তু সে ধীরস্বরেই উত্তর দিল,
সর্দার তেজ সিং, আমরা অপমানে অভ্যস্ত নই। কেন যুদ্ধ না করে কৌশল অবলম্বন করেছিলাম সে কথা আগে বলছি। নিরপরাধ সিপাহীদের হত্যা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, যে নির্গুণ রাজশক্তি দুষ্টের দমন না করে দুষ্টের পালনে আত্মনিয়োগ করেছে তার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।
তেজ সিং বলিলেন,—কাপুরুষের মুখে নীতির কথা শোভা পায় না। যদি যুদ্ধে হারিয়ে আমাকে বন্দী করতে পারতে তাহলে বুঝতাম।
প্রতাপের মুখ কঠিন হইয়া উঠিল, সে কিছুক্ষণ প্রখর দৃষ্টিতে তেজ সিংয়ের পানে চাহিয়া থাকিয়া বলিল,-
আপনি আমার সঙ্গে অসিযুদ্ধে রাজি আছেন?
তেজ সিং বলিলেন,—আছি। একটা তলোয়ার
প্রতাপ বলিল,—ভীম, সর্দারকে তলোয়ার দাও।
ভীম তেজ সিংকে তলোয়ার দিল, প্রতাপ নিজের কোমর হইতে অসি কোষমুক্ত করিল।
প্রতাপ বলিল,—আমি শপথ করছি যদি আপনি আমাকে পরাস্ত করতে পারেন তাহলে বিনা শর্তে মুক্তি পাবেন, আমার সঙ্গীরা কেউ আপনাকে ধরে রাখবে না। আর আপনি শপথ করুন যদি পরাস্ত হন তাহলে পালাবার চেষ্টা করবেন না।
তেজ সিং বলিলেন,—শপথ করছি।
অতঃপর অসিযুদ্ধ আরম্ভ হইল। উভয় যোদ্ধা প্রায় সমকক্ষ, তেজ সিংয়ের অসিবিদ্যায় পটুত্ব বেশী, প্রতাপের বয়স কম। বেশ কিছুক্ষণ যুদ্ধ চলিল; ক্রমে তেজ সিং ক্লান্ত হইয়া পড়িতে লাগিলেন। নিজের আসন্ন অবসন্নতা অনুভব করিয়া তিনি অন্ধবেগে আক্রমণ করিলেন। প্রতাপ তখন সহজেই তাঁহাকে পরাভূত করিয়া ধরাশায়ী করিল।
প্রতাপ হাত ধরিয়া তেজ সিংকে ভূমি হইতে তুলিল; কিছুক্ষণ দুইজনে নিষ্পলক দৃষ্টি বিনিময় করিলেন। তেজ সিংয়ের দৃষ্টিতে পরাভবের তিক্ততার সহিত সন্ত্রম মিশিল। তিনি বলিলেন,-
প্রতাপ সিং, তোমার কাছে পরাস্ত হয়েছি। আমার শপথ মনে রাখব।