আমায় তুমি অমন করে ডেকো নাকো আর।
আকাশ যখন আঁধার হলো ঝড়ের মাতন উঠল চারিধার। বন্ধ ক’রে বসেআছি মনের সকল দ্বার,
সারা জীবন ঝড়ের মাতন সইব কত আর।
মনের ঘরে আগল দিয়ে লাঘব করি ভার,
সেই প্রভাতে এলাম যখন আকাশ অন্ধকার।
সেদিন এমন বরিষণে জল জমেছে সকলখানে
চোখের জলের ধারাপাতে সকল একাকার।
মা আমার যে মায়াবতী পিতা শুদ্ধোদন রাজ্য পতি
যত্নে সবাই লালন করে শৈশব আমার।
ক্রমে বড়ো হলাম যবে পরের দুঃখে মনটা কাঁদে
রাজ্য সুখ অনিত্য বুঝে ধ্যান করি ত্রাতার।
রাজ কুমারের বিয়ে হলো শ্রী সুন্দরী ঘরে এলো
শঙ্খ উলু ধ্বনি দিলো দায়িত্ব ভার সাথে এলো নতুন এক সংসার।
নিয়ম মেনে পুত্র এলো স্নেহ মায়া অগাধ হলো
মনটা বড়ো উদাস হলো চাপ বাড়ায় সংসার।
ব্যথিত মন সদাই কাঁদে জরা ব্যাধি মৃত্যু শোকে
কেমন করর ত্রাণ পাবে লোক দূর হবে আঁধার।
চিন্তায় ঘর ছাড়ি শেষে পরিব্রাজকেরই বেশে
জগৎ জুড়ে খুঁজে বেড়াই দেখা দাও হে ভুবনেশ্বর।
প্রভাত যখন সন্ধ্যা হলো ঘরে ফেরার পালা এল,
দিনের আলো নিভে গেল জগত অন্ধকার।
এক জীবনে দুখের তরী বাইবো কতো আর।
বোধন এখন হয়নি সারা আমি নিমেষ তন্দ্রাহারা,
জরা,ব্যধি,মৃত্যুহারা করব এ সংসার।
আমায় তুমি অমন করে ডেকোনাকো আর
বোধি বৃক্ষের ছায়ায় বসে ডাকি সেই ত্রাতায়
বিশ্বপিতার আশীর্বাদে দূর হবে আঁধার।।