আমার অন্তরে বড়ো, খুব বড়ো একটা আকাশ আছে,
সেখানে নীল দিগন্ত জুড়ে বলাকা’রা খেলে বেড়ায়
অসীম সে আকাশে যেমন সূর্যের প্রখর উত্তাপ আছে
তেমনি রয়েছে মিষ্টি জোৎস্নার মায়াময় অভিব্যক্তি।
মাঝে মাঝেই ঝরে পড়ে শান্তির স্নিগ্ধ বারিধারা
সেখানে মনের গহীন প্রকোষ্ঠ গুলি যেন বায়ুমণ্ডলের স্তর
সে কেবল বলে গভীরে যাও আরো গভীরে যাও
আমার মনন তাকে দুষিত হতে দেয়নি একটুও
সুন্দর ভাবনার গভীরতার সঙ্গে শুধু সচেতনার হেরফের,
আমার মনের চেতনা সেই আকাশের ওজোন স্তর
যাকে আমি দুহাত দিয়ে আগলে রেখেছি ভালোবেসে
সমস্ত পাপ,খেদ, হিংসাকে প্রতিহত করে মনের ওজোন স্তর।
চারিদিকের অন্যায় দুরাচার দেখে যখন আমি বিদ্রোহী হই,
তখন আমার মনের ট্রপোস্ফিয়ার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে
তবে তা নিজে থেকেই শীতল হয়ে যায় ক্রমশ
ওখানে যে নেই কোনো গ্রীন হাউস গ্যাসের আধিক্য।
ওখানেও ঝড় হয়, বাতাস বয়, পাতা ঝরে,
ক্লান্ত পাখির দল গাছের আবডালে ছায়া খোঁজে
সুন্দর বনানী ঢাকা আমার মনের শান্ত নীড়,
অন্তঃসলিলা নদীগুলো এলোমেলো ভাবে এগিয়ে চলে
এগিয়ে চলে সমস্ত শিরা উপশিরা দিয়ে বহু পথ
কই! তারা তো দূষিত হয়না, কেউ তাদের দূষিত করে না।
মনের জানালা দিয়ে দেখি আকাশের রামধনু
চোখের সামনে ভেসে থাকা আকাশ আর মনের আকাশ
চরম বৈপরীত্য মনে প্রশ্ন জাগায়
বহুদিন ধরে এর কারণ খুঁজে চলেছি আমি
জানতে পারলাম অবশেষে!
আমার মনের আকাশে সবাই আছে, শুধু মানুষ নেই,
কেবল মানুষ নেই।।