কবিতা লেখার আগে চুপ করে বসে থাকি
মনে পড়ে প্রতিশ্রুতি, মনে পড়ে
কার প্রতিশোধ এই চুপ করে বসে থাকা।
সকালে পায়ের পাতা শিরশির করে উঠে
বুকের ভিতরে কাশ, অসরল প্রতিটি নিশ্বাস
কিছু নিরুত্তাপ আজ বিদেশের চিঠি, মনে পড়ে
প্রতিশ্রুতি, মনে পড়ে কার প্রতিশোধ
এই চুপ করে বসে থাকা।
বরুণার বিয়ে কাল, অথচ ২৪ ঘণ্টা হরতাল
ছ’রকম ভয়ে কাঁপে সাতজন, সেনবাবুদের মেজো ছেলে
পরশু বিকেল থেকে ফেরেনি বাড়িতে, না ফিরুক, আমি তার
জন্য দায়ী নই, আমি গুলি চালাবার জন্য দায়ী নই, আমি
দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী নই, বিনয় কোথায় থাকবে আজ রাত্রে
আমি দায়ী নই, যে যেখানে মরুক বাঁচুক—
পৃথিবী উচ্ছন্নে যাক, দেবালয় থেকে স্বর্ণ চুরি হোক
স্পেনের মৃত্তিকা যাক নেভাডায়, তাসখণ্ড খণ্ড খণ্ড হোক
আমি কেন দায়ী হব? আমি শুধু বেঁচে থাকব, আমি
মহা স্বার্থপর হয়ে বেঁচে থাকব, যতদিন পারি।
শান্তিনিকেতনে যদি পুরোপুরি দোল খেলা হয়
তা হলে আমার লেখা কেন থামবে? আমি টেবিলের
কাছে বসে থাকি।
কিন্তু বড় চুপ করে বসে থাকা; মনে পড়ে
প্রতিশ্রুতি, মনে পড়ে কার প্রতিশোধ
এই তিক্ত, অপমানে অতি রুক্ষ ব্যর্থ বসে থাকা।