বুঝলি মন, বললো পবন
চলতো চালাই নায়ে,
মাছের ঝাঁকে নদীর বাঁকে
নাচছে ডানে বায়ে।
বাউশ বোয়াল শোল চিতলে
ঘাঁইটা কেমন মারে!
ছাড়বোনা আজ চলনা যাই
কুশি নদীর পাড়ে।
নকুল বিপুল পলাশ শিমুল
দ্যাখনা ধরছে মাছে,
বৈঠা ঠেলে নৌকো মোদের
নিতে হবে কাছে।
ছলাৎ ছলাৎ জলটা কেটে
বাঁকের মুখে এলে,
ঝাঁকে ঝাঁকে রূপোলী আশ
মাছের দেখা মেলে।
টানা জালে ঝপাৎ ঝপাৎ
আটকা পড়ে মাছে,
তিড়িং বিড়িং লাফটা মেরে
এদিক ওদিক নাচে।
মন – পবনের চোখে খুশি
হৃদে পুলক হাসি,
কিছু মাছে বেচে কিনবে
ঘরের তৈজস রাশি।
বাকি টাকায় মায়ের জন্যে
কিনবে ছাপা শাড়ি,
বোনের তরে পুঁতির মালা
খুশি হবে ভারী।
শোল বোয়ালটা বেচবে নাকো
খাবে সবাই মিলে,
মায়ের হাতের রান্নার বাহার
আয়েস খুশির ঝিলে।