আমি দধীচি নই দিতে পারবো না অস্থি, তারচেয়ে
বরং ক্যারামের ঘুঁটিটা নিয়ে যাও লালটা বাদে
আমার রক্তের রঙ লাল ঐ ফ্লাগটাও তবু…।
দারুণ গান বাজাও গ্রামোফোনে এই সুখী
গৃহকোণে যদি মাকড়সা থাকে তবে ভাঁড়েতে
ঢালো মদ বড় দরজা দিও খুলে, কেরানী চুমু
খেয়েছে ছোট সাহেবের বৌয়ের নাকে পানের পিচ্
লেগে
ভাল জমেছে তেরে কেটে তাক বল্টুর হাতে ছুরিটা
থাক
ওটা ভোঁতা, চড়াই মারতে পারে যার হৃদপিণ্ড বিকল,
শ্যামবাবুর খেয়াল শুনে বিপ্লবী ভজা পাল লাফ দ্যায়
ছাত থেকে, বন্ধু খুঁজে পায় হাসপাতালের ছকু মিয়াঁ।
আমি সরকার নই দিতে পারবো না ভর্তুকি তার চেয়ে
বরং নিয়ে যাও ছেঁড়া ব্যাগ ওতে রেশন থাকে না
পেনশন পাওয়া বাবার ওটা উপহার, ৬৬ বছর
স্বাধীন
হয়েছে দেশ, রাস্তা যেন উর্বশী শিক্ষাকেন্দ্র,
ডবলডেকার চলে গরুর মতন–
শুধু সোর্সের জোরে পঞ্চু মস্তানও লেকচার দ্যায়।
রমাপিসির বড় মেয়ে বুঁচি আজকাল ইংলিশ বলে
বাথরুমে
লন্ডন ফেরত মিস সোমা দত্ত রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়
বারবেলায়।
আমি দধীচি নই দিতে পারবো না অস্থি তার চেয়ে
বরং কবিতাটা নিয়ে যাও দামী কলমটা বাদে।