বোগেনভেলিয়া তোমার রূপে নয়, রূপ সে তো ক্ষণিকের!
তোমার ওই উজ্জ্বল বেগুনি রঙ, মিষ্টি মধুর হাসি আমায় সম্মোহিত করে!
বৃষ্টির সোহাগে গাছের ঔরসে যে নতুন কুঁড়ির জন্ম নেয়,
যৌবনে মেলে ধরে তার পাপড়ি
সে কি মানুষ বোঝে!
সে গভীর কথা শুধু ভ্রমর বোঝে!
পাখি বোঝে, মাটি, রোদ, বৃষ্টি আর হাওয়া বোঝে।
পাখিরাও আশ্রয়ের খোঁজে, সঠিক গাছের ডালটি নেয় বেছে।
তবে বলতে পারো মানুষ কেন মানুষ কে আঘাত করে!
বোগেনভেলিয়া আমি তোমায় দেখেছিলাম শীতের এক নরম রোদ্দুর সকালে।
তোমার সুগন্ধি শরীরের ওমে জড়িয়ে নিচ্ছিলে আমায়!
আমি ভ্রমর হয়ে গান শুনিয়ে যাই
তোমার গায়ে রেণু মেখে সুধা পান করি দুবেলা!
তুমিই বলো আমি তোমায় ভুলি কেমন করে!
জানি মানুষ বড় স্বার্থপর,ভুলে যায় প্রয়োজন ফুরালে!
আমি মানুষ নই, আমি তোমার বুকের ভিতর ছোট্ট পাখি।
আমি তোমার মৌনতা খাই আজীবন চুপটি করে।
দেখো,রজনীগন্ধা গন্ধ ছড়িয়ে কেমন হাসছে,
লিলি হাসনাহানু অপলক দৃষ্টি মেলে তোমার দিকে চেয়ে আছে!
বড্ড ভয় হয় আমার,বুক শূন্য দুপুর ভয়!
বল, তুমি হারিয়ে যাবে না তো আমার গন্ধ মাখা দুহাত ছুঁয়ে।
বোগেনভেলিয়া আমি তোমায় ভালোবাসি বলবো না।
ভালোবাসা বেশি প্রকাশ পেলেই, এক অচেনা দূরত্ব বেড়ে চলে!
বোগেনভেলিয়া আমি যে তোমায় মন্দবাসি!