দুপুরবেলা আঁধার করে এল যখন কলকাতা
লোকটি বলে, শোনো…
ভালবাসার কাঙাল আমি
ভালবেসেও তোমাকে আমি পাব না কক্ষনও
কিন্তু সেই বুকের পাটা কই?
বলতে পারে ‘দরজা খোলা, আমি তোমার
অন্য উপনিষদ লেখা বই।’
আছে অমোঘ টান
কে চায় আর কোর্টে যেতে, ঘুমের দফারফার শেষে
বাসন খানখান!
গাছ কি আর উপড়ে ফেলা সহজ
বন্ধু এসে বলল শোন, দারুণ খেলা, তাহলে চোখ বোজ
যা মেঘ, হুস, আন তো ধরে ওকে
ধরব কাকে? সূর্যোদয় না অস্ত-কে?
কী করে বেঁচে থাকি?
মেয়েটি ভাবে চাকরি ছেড়ে কুচবিহারে
চাকরি নেবে নাকি?
চুরি না করে চোরের মতো
নিজের হিরে
নিজের ঘরে হারানো।
লোকটি বলে শোনো…
ধরো আমায়, ছেড়ো না কক্ষনও
মেয়েটি ধরে, এই তো হাত, এই তো ঘাড়
কোমর, বুক
এই ধরেছি শিরদাঁড়ার হাড়
মানুষ, আমি কষ্টে থাকা অশোকবনে
সে মেয়ে আর নই।
তোমার মতো ভালবাসেনি আমাকে একজনও
কিন্তু আমি তোমাকে ছাড়াই
বাঁচতে চাই আরও