সম্রাট আমি সর্বোদয়।
দ্বিধাহীন অধিকার আসমুদ্র হিমাচল করিছে বিস্তার,
দেবতা-মানবে মোর নাহিক সংশয়।
নি:সঙ্গ কামনার ধন, সন্ন্যাসীর বিমুগ্ধ বিস্ময়,
ছিল নাকি মুখেতে তোমার!
তার থেকে ভালো হত ভয়ের মাঝেতে
কল্পনার দেবী মোর হইত উদয়।
ঊর্দ্ধতম ঊর্দ্ধেতে যায় অধিকার আত্মার,
একাকী নি:সঙ্গ পথে ভ্রমণের শেষে
সুমিষ্ট সঙ্গীত তান শুনিব তোমার।
পাশবিক হিংস্রতা হয়তো থাকিবে পথেতে,
দেখে যাব দ্বিধাহীন দৃষ্টিতে আমার
জীবন্ত আত্মার সাথে পরিচিতি নাই
তথাপি সঙ্গীত তব শুনিবারে পাই।
সমাজ,বন্ধুত্ব আর প্রেম ভালোবাসা
স্বর্গের নির্মাল্য নিয়ে আসে পৃথিবীতে,
পেতাম যদি প্রজাপতির ছোট্ট দুটি ডানা
তোমার বুকের মাঝে মিশিতাম গিয়ে।
দু:খের দারুণ বাঁধ ভেঙে যেত বুঝি
পথে পথে ফিরিতাম সত্য ধর্ম খুঁজি,
যৌবনের ধর্ম আরো শিক্ষা দিত মোরে
আকন্ঠ করিতে পান সুধা মাখা প্রেম।
ওগো মলয় বাতাস, তুমি বয়ে নিয়ে যাও
আমার এ কল্পনা তরী বারেক ভিড়াও।
নিয়ে যাও তার কাছে সুপ্ত ইচ্ছা খানি,
আমার মনের সাধ পুরিবে সে জানি।
আমার প্রিয়ার কোনো গোপন বারতা
ক্ষুদ্র হোক তুচ্ছ হোক ইচ্ছা চিন্তা তার
বলে যেও তুমি ওগো সে গোপন বাণী
হয়তো পাব না তারে দিবস যামিনী।
রঙীন কল্পনাপাখা সুদূর প্রসারী
তোমার গমন পথে সম বেগ ধারী-
হয়তো তোমার চেয়ে আরো দ্রুত বেগে
আলোকে পিছনে ফেলে মন ছুটে চলে।
যে গভীর উৎস হতে চিন্তা রাশি রাশি
মূহুর্তে শতধা হয়ে তোমা খুঁজে ফেরে
হয়তো আঁধার এসে গ্রাসিবে তখনি,
হয়তো হাসিবে বসে তুমি অন্তর্যামী।
সাগরের ঢেউ গুলো ক্লান্ত হয়ে এল বুঝি
নীড় খুঁজে খুঁজে,
পাশবিক হিংস্রতা নিল গোপন আশ্রয়,
তথাপি সমুদ্র বায়ু বয়ে চলে যায়
আমার কল্পনা লয়ে যায় তব কাছে।