Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » বাঙালি আজও একাই এক show || Pinaki Chowdhury

বাঙালি আজও একাই এক show || Pinaki Chowdhury

কথায় বলে বাঙালি একাই একশো। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল ,একশো বাঙালি আজও এক হতে পারলো না! এমনকি এই ২০২৩ সালের শেষে এসেও ! এমনিতে সাত চড়ে রা নেই ! কিন্তু আঁতে ঘা লাগলেই হল ! বছরভর আমবাঙালি বিদ্রোহ ঘোষণা করে এক পরম তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললো !  আসলে বাঙালি শুরুটা করে বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে, তারপর বেলা গড়াতেই ছন্দপতন ! তর্কবাগীশ বাঙালি তখনই ‌যেন খেই হারিয়ে ফেলে ! এমনকি চার অক্ষরের গালিতে প্রতিপক্ষকে বিদ্ধ করে । সুদূর অতীতে বাঙালি  গভীর রাতে রবীন্দ্র রচনাবলী পড়ে তবেই শয়ন করতো। আর এখন ? কেন হোয়াটস অ্যাপ তো রয়েছেই ! সুতরাং অ্যাডভান্টেজ বাঙালি ! যত রাজ্যের ভুলভাল ম্যাসেজ ফরওয়ার্ড করে তবেই বাঙালি ঘুমোতে যায় !  এছাড়াও দুষ্টু দুষ্টু ওয়েবসাইটে বিচরণ করতে আজ বাঙালি বদ্ধপরিকর!  ঘটনাস্থলের উত্তেজনা থেকে পাড়ার রকের সমালোচনা – সবেতেই এই ‘২৩ সালে অগ্রাধিকার পেল রাজনীতি ! কোনও গঠনমূলক সমালোচনা না করে  বাঙালি শুধুমাত্র নেতিবাচক সমালোচনা করেই ক্ষান্ত হল ! বছরভর আমবাঙালি মেতে উঠলো পিএনপিসি তে ( পরনিন্দা পরচর্চা ) । হ্যাঁ, এই বিশ্বায়নের যুগেও কিন্তু প্রায় প্রতিটি বাঙালি পিএনপিসিতে ডিপ্লোমা হোল্ডার! এছাড়াও নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করতে আজও বাঙালি অপ্রতিরোধ্য ! নন্দন চত্বরে আজ টিন এজাররা ভিড় করে শুধুমাত্র  চলচ্চিত্র দেখবার জন্য নয়, বরং নিজস্বী ( Selfie) তোলবার তাগিদে ! যেখানে স্বার্থ, সেখানেই বাঙালি ! এমনকি মুখপুস্তিকাতেও ( পড়ুন ফেসবুক ) । বাঙালি বছরভর ফেসবুকে লাইক ও কমেন্ট করলো বেছে বেছে , মানে নিজ স্বার্থসিদ্ধির তাগিদে ! বস্তুতঃ সারা বছরই আমবাঙালি নিজেকে বিজ্ঞাপিত করলো ! হ্যাঁ, নিজেকে বিজ্ঞাপিত করবার সবথেকে সহজ মাধ্যম হিসেবে তারা ফেসবুককে বেছে নিয়েছিল। তবে অতীতের মতো আজও কিন্তু উঠতি কোনও  বাঙালি যুবক তার পাশের বাড়ির মেয়ের প্রেমে পড়ে। প্রথম প্রথম চিলেকোঠার ছাদ থেকে দু’পলকের দৃষ্টি বিনিময় ! কিন্তু তাল কেটে যায় যখন কন্যের বাবা যখন সব জানতে পারেন এবং রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বলেন ” জানোয়ার ছেলে, আয়নায় নিজের চেহারা দেখেছিস ? ভালোয় ভালোয় এখান থেকে পালা। নইলে মেরে তোর ইয়ে ভেঙে দেবো ! ” ব্যাস, তারপরেই সেই প্রেমের দফারফা !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *