এসেছে ঝড় ভেঙেছে ঘর ভাসছে জলে সব
আশ্রয় খোঁজে মানুষ পশু করছে ভয়ে রব।
প্রবল বেগে ধেয়ে এলো বাতাসের বেগ আজ
‘রেমাল’ ঝড়ের তাণ্ডব নাচে ভণ্ড সবার কাজ।
ভাঙছে বেড়া ভাঙছে টালি দমকা হাওয়ায় সাথ
ক্রন্দন রোলে বস্তিবাসী কপালে দেয় হাত।
ভাঙছে শাখা এদিক সেদিক পথের পরে রয়
নীড়ের ভাঙ্গা পক্ষীসকল পায় যে কেবল ভয়।
প্রবল বৃষ্টি জল জমেছে থামার লক্ষণ নাই
ঘর ছাড়া জন ভিজে জবজব গাছতলাতে ঠাই।
বাজের শব্দ কানে তালা ঝিলিক মারে হায়
কড়াৎ কড়াৎ শব্দ করে পৃথ্বী পরে ধায়।
সাগর জলে উথাল পাথাল মত্ত রেমাল ঝড়
ওলোট পালট ঢেউয়ের আছাড় সারা দিনের ভর।
ক্ষয় ক্ষতিতে চূড়ান্ত যে ভাঙলো কত ঘর।
সর্বনাশী ঘূর্ণিঝড়ের মাতামাতি পর।
জলের তলায় ঘর বাড়ি সব ভেঙে হলো খান
অট্টালিকার ছাদের পরে মানুষ জনকে পান।
চিঁড়া জলে করছে আহার সময়ের যে মার
ঠাকুরেতে বিশ্বাস ধরে এমন শক্তি তার।
ভেসে চলে গরুবাছুর আরো মৃত লাশ
সর্বনাশে কাঁদছে সবে তবু মনে আশ।
উদ্ধার পাবে বিপদ থেকে ঘুচবে তাদের ক্লেশ
সংহারের পথ স্তব্ধ হবে বাঁচবে বাকি শেষ।