বৃক্ষের বিজন সবুজ ছায়ায় আমি স্থানুবৎ বসে,
দেখছি শুধুই দেখছি,
চলে যাওয়া মেঘ, মরুভূমির দেশে।
আর বলছি, কোথায় আর যাবে?
পুরো আকাশটাই তো আমার।
যেখানে খুশি যাও উড়ে, আমি কি বারণ করেছি?
তুমি হয়তো জানো না, কিছু কিছু সময়
‘ভালো থেকো’ মানেই, ‘যেও না বলছি’।
ব্যর্থ সব ডাকাডাকিতে, অবুজ গানের সুর,
বৃষ্টি তার দু-পায়ের নুপুর হারায়,
শালুক ফুলের মুখ!
শিশুর মতো লাল লাজে,
এক হাসনুহানার গল্প শোনায়।
ঘরে ফেরার গান থামায়, পদ্মপাতায়,
ঘাসফড়িংদের সিম্ফনী,
মেঘ যায় উড়ে, দূরে বহুদূরে।
আর আমি! পায়ে লেগে থাকা পিছুটানের ভিতর,
চোরকাঁটা বেছে প্রতিজ্ঞা নিই।
পদ্মপাতায় মাখাবো না আর,
প্রেম জলের নীল আতর।
কোনোদিনও না, কোনোদিনও নয়,
প্রতিজ্ঞা নিই আমি।
ছায়ায় হয়ে আসে রোধ,
পৃথিবীর থেকে যাওয়ার সবপথ,
রোদাক্রান্ত পৃথিবীর কাছে, মেঘের কাছে
কে যেন চায় আজ, গাছের প্রতিশোধ।
প্রেম যাওয়ার পর, সে পথ ধরে
বাঘিনীর মতো মৃত্যু আসে বাতাসে।
তবু আমি ঘুমাতে পারিনা,
একা একা বসে থাকি দিঘির নির্জনতায়।
আর অভিশাপ দিই তাকে, যে বলছিলো আমায়,
স্মৃতি-বিস্মৃতি, সবকিছু ভুলে নাকি, ঘুমানো যায়।