আস্তে আস্তে গুটিয়ে যাচ্ছে-
বিস্তৃত জীবনধারার খোলা অঙ্গন।
রাতভরে বৃষ্টি ধুয়ে দিয়েছে ক্লেদ,,স্তব্ধতায় বিশ্রামে-
জীবন দেখার বিতৃষ্ণায় মুড়ে গেছে জীবন।
জীবন হৃদে জল নিতে আসে লজ্জ্বাবণত ঘরণী-
যে ছিল মনহরিণী ,ঢাক-ঢোল বাজাতো জ্যোৎস্না রজনী,
অপরাহ্নের ঘোলা চোখে আঙুল তুলে শঙ্কিত বুকে –
কালো অন্ধকারে ঢেকে যায় মনের গবাক্ষের আকাশ।
এতদিন তো নৈঃশব্দকে ছুঁয়ে-ছুঁয়েই কেটেছে বেলা
সুপুরুষের অক্ষয় শব্দবাণী নিঃস্ব করেছে রস-রক্ত
তুমিই কেবল সপ্তরং দুইভুরুর মাঝেই রেখেছো আমায়-
চকিত চাহুনি অতন্দ্র প্রহরী বাহুতে আগলায়।
আজ জীবন রইল পড়ে অনাদরে ,তুমি বহুদূরে
অশনির সংকেত হারায় পড়ন্ত বেলার দীর্ঘশ্বাস
জীবনে দেখাই হলোনা স্রোতস্বিনী,পলিভরা উর্বশী নদী
পড়ে আছে দেখি পথে কত শুভ্র মরাহাঁস।